অযোধ্যা মঙ্গলবার ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে চলেছে। রাম মন্দিরের নির্মাণ কার্য সম্পূর্ণ হওয়ার প্রতীক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ মন্দিরের শিখরে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করবেন—আর সেই আনুষ্ঠানিকতাকে ঘিরেই গোটা শহর জুড়ে উৎসবমুখর প্রস্তুতি ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
ঘটনার গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে আরও একটি বিশেষ বার্তা—হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী আজ ‘রাম বিবাহ’, ভগবান রামের বিবাহোৎসব পালনের দিন। ফলে আধ্যাত্মিক আবহ, সাংস্কৃতিক উদ্যাপন ও প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফর—তিনের মিলিত রূপে অযোধ্যায় উৎসব ও সতর্কতার সমান্তরাল চিত্র।
নিরাপত্তায় নজির—৬,৯৭০ বাহিনীর সদস্য মোতায়েন
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে যে মাত্রায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা কার্যত নজিরবিহীন। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী—
৬,৯৭০ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন
এটিএস কমান্ডো, এনএসজি স্নাইপার, সাইবার বিশেষজ্ঞ ও প্রযুক্তিগত টিম শহর জুড়ে ছড়িয়ে
রাম মন্দির, প্রতিটি প্রবেশদ্বার, প্রধান সড়ক ও অনুষ্ঠানস্থল—সব জায়গায় বহিস্তরীয় সুরক্ষা বলয়
রাম মন্দির প্রশাসন থেকে দর্শনার্থীদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, কারণ আজ শহরে সরকারি অতিথি, আমন্ত্রিত প্রতিনিধি ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
শুরু হয়েছে মোদীর রোডশো — অযোধ্যার রাস্তায় সাংস্কৃতিক আভা
অযোধ্যায় পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর রোডশো শুরু হয়েছে।
এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটে মোট ১২টি ‘ওয়েলকাম পয়েন্ট’ তৈরি করা হয়েছে
৭টি সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্মে লোকশিল্পীদের নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশনায় স্বাগত জানানোর আয়োজন
শহরের রাস্তায় ইতিমধ্যেই ভক্তদের ভিড়, ঢাক-ঢোলের বাজনা এবং শঙ্খধ্বনি—রাজনৈতিক সফরকে উৎসবের আবহে রূপ দিয়েছে।
অযোধ্যার নজর আজ রাম মন্দিরে
শিখরে পতাকা উত্তোলনের আনুষ্ঠানিকতা শুধুমাত্র একটি সরকারি অনুষ্ঠান নয়, বরং রাম মন্দির নির্মাণের বহু দশকের অপেক্ষার পরিসমাপ্তিকে প্রতীকীভাবে ঘোষণা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। অযোধ্যা, উত্তরপ্রদেশ ও দেশের নানা প্রান্তের ভক্তদের চোখ আজ রামলালা’র জন্মভূমির দিকে নিবদ্ধ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যায়ক্রমে প্রবেশ সীমাবদ্ধ করা হতে পারে। কিন্তু উদ্যাপনে কোনও ছেদ পড়বে না—এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
