পিকের মাস্টারস্ট্রোক: প্রথম তালিকাতেই চিকিৎসক, অধ্যাপকসহ চমকপ্রদ প্রার্থীরা

Prashant Kishor Predicts Jan Suraaj’s Performance in Upcoming Bihar Elections

পাটনা: ভোটের ঢাকে কাঠি পড়তেই আসন ভাগাভাগি, প্রার্থী তালিকা নিয়ে সরগরম বিহারের (Bihar Assembly Election) রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে বৃহস্পতিবার প্রথম দফার ৫১ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishore) জন সুরজ পার্টি।

Advertisements

যদিও এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না প্রশান্ত কিশোর। জন সুরজ পার্টির (Jan Suraaj Party) রাজ্য সভাপতি মনোজ ভারতী এবং জাতীয় সভাপতি পাপ্পু সিং সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পাশাপাশি, এদিন দলের তরফে জানানো হয়, আগামী ১১ অক্টোবর তেজস্বী যাদবের বিধানসভা কেন্দ্র রাঘোপুর থেকেই তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishore)। এর থেকেই স্পষ্ট প্রথমবার নির্বাচনের ময়দানে নামা এবং রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করার জন্য পুরোদমে প্রস্তুত প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরজ পার্টি।

   

প্রথম তালিকাতেই বিহারের রাজনীতিতে মাস্টারস্ট্রোক পিকের

প্রথম তালিকাতেই, ১৬ শতাংশ প্রার্থী মুসলিম এবং ১৭ শতাংশ অত্যন্ত পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রার্থীদের রেখেছেন পিকে (Prashant Kishore)। ভোটকুশলী থেকে রাজনীতিতে সরাসরি আসার পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তাই প্রার্থী নির্বাচনের সময় তাঁদের পরিষ্কার ভাবমূর্তিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি।

Advertisements

কিশোরের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন একজন গণিতবিদ, যিনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পাঠ্যপুস্তক লিখেছেন, প্রাক্তন আমলা, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার এবং ডাক্তার। কুমহরারে জন সুরজের প্রার্থী কেসি সিনহা পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর লেখা বইগুলি কয়েক দশক ধরে বিহার এবং অন্যান্য রাজ্যের স্কুলগুলিতে অনুসরণ করা হচ্ছে।

ওয়াই বি গিরি হলেন মাঞ্জি থেকে জন সুরজ পার্টির (Jan Suraaj Party) প্রার্থী। পাটনা হাইকোর্টের একজন সিনিয়র আইনজীবী, ওয়াই বি গিরি বেশ কয়েকটি হাই-প্রোফাইল মামলার অংশ ছিলেন। তিনি বিহারের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং পাটনা হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের মামলার জন্য ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

মুজাফফরপুর আসনের ডঃ অমিত কুমার দাস পাটনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন ছাত্র এবং তিনি গ্রামীণ এলাকায় সচেতনতা প্রচার এবং মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য কাজ করেছেন। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী (যিনি একজন চিকিৎসক), মুজাফফরপুরে একটি হাসপাতাল পরিচালনা করেন।