নয়াদিল্লি: ট্রাম্পের শুক্ল-ভিসা ত্রাসের আবহে ২২ সেপ্টেম্বর আমেরিকা যাচ্ছেন বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। ১৭ তারিখ ‘বন্ধু’ মোদীর জন্মদিনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছাবার্তার পর ভারত-আমেরিকার শুল্ক-টানাপড়েনের বরফ গলার আশা করা হলেও শনিবার সেই আশা কার্যত ভেঙে গিয়েছে ভারতের।
কারণ, ৫০% শুল্কের পর এইচ ১-বি ভিসা নিয়েও ভারতকে চাপে ফেলেছে আমেরিকা। এই আবহে বাণিজ্য এবং শুল্ক চুক্তি নিয়ে আমেরিকায় বৈঠকে বসতে চলেছেন পীযূষ গোয়েল। বৈঠকে এইচ ১-বি ভিসার প্রসঙ্গও তোলা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আমেরিকায় পাড়ি দেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী এইচ ১- বি ভিসা ফি বাড়ানো নিয়ে কি বললেন?
এক্সে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “ওরা (আমেরিকা) আদপে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে চায়। সেইসঙ্গে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কও আরও দৃঢ় করতে চায়।” এরপর মুচকি হেসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আসলে ওরা (আমেরিকা) ভারতের মেধাকে ভয় পায়। আমাদের এই ব্যপারে কোনও আপত্তি নেই। “। উল্টে বর্তমানে আমেরিকায় কর্মরত ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “দেশে ফিরে আসুন। এখানে নতুন আবিষ্কার করুন। তাতে দেশের অর্থনীতি আরও দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। যাই পরিস্থিতি হোক না কেন, লাভের দিকে আমরাই থাকব”।
বস্তুত, রবিবার থেকে H1-B ভিসার ফি বাড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা। আগে যেখানে টিসিএস, উইপ্রো, ইনফোসিস, টেক মাহিন্দ্রার মত তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে আমেরিকায় ভারতীয় কর্মীদের কাজ করতে পাঠালে ১৭০০ থেকে ৪৫০০ ডলারের মত ভিসা ফি দিতে হত, বর্তমানে এক লাফে সেই ফি বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৮৮ লক্ষ টাকা। এর সরাসরি প্রভাব তথ্য প্রযুক্তি কর্মীদের উপর পড়বে। একদিকে যেমন আমেরিকায় আর কর্মীদের পাঠানো মুশকিল হয়ে যাবে অন্যদিকে, বর্তমানে যেসব কর্মীরা ভিসা নিয়ে আমাএরিকায় সপরিবারে থাকছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা অনেকগুন বেড়ে যাবে।
আমেরিকার ক্ষতি, ভারতের লাভ
যেহেতু আমেরিকায় H1-B ভিসা প্রাপ্ত ৭১ শতাংশই ভারতীয়। বর্তমানে প্রায় ৫ লক্ষ ভারতীয় আমেরিকায় H1-B ভিসা নিয়ে কর্মরত। তাঁদের মধ্যে ২ লক্ষ মানুষও যদি দেশে ফিরে আসেন, তাহলে বিপুল পরিমাণে দক্ষ কর্মী হারাবে আমেরিকা। অন্যদিকে, মেধাবী দক্ষ ভারতীয় কর্মীরা দেশে ফিরে এলে আখেরে ভারতেরই লাভ হবে বলে মনে করছে কেন্দ্র সরকার। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে এই কর্মীদের অবদান উল্লেখযোগ্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যা দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
