‘পিংক সহেলি স্মার্ট কার্ড’ কীভাবে আবেদন করবেন? জানুন ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া

pink-saheli-smart-card-delhi-free-bus-ride-apply-online-process

দিল্লি সরকার রবিবার রাজধানীর মহিলাদের ও তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে চালু করেছে ‘পিংক সেহেলি স্মার্ট কার্ড’। এই বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সমস্ত নারী, কন্যা, বোন ও মা দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (DTC) এবং ক্লাস্টার বাসে বিনামূল্যে যাতায়াত করতে পারবেন।

Advertisements

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত এক্স (X) প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে জানান, “দিল্লি সরকার ‘পিংক সেহেলি স্মার্ট কার্ড’ চালু করেছে মহিলাদের ও ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য। এখন থেকে ১২ বছরের বেশি বয়সী কন্যা, বোন ও মা বিনামূল্যে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে দিল্লির DTC ও ক্লাস্টার বাসে ভ্রমণ করতে পারবেন।”

   

তিনি আরও লেখেন, “এই পদক্ষেপ দিল্লির মহিলাদের যাতায়াতকে আরও সহজ করবে, জনপরিবহনের ব্যবহার বাড়াবে এবং নারীর শক্তিকে আরও সম্মান দেবে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে বহু নাগরিক স্বাগত জানিয়েছেন, কারণ এটি রাজধানীতে মহিলাদের নিরাপদ ও সুবিধাজনক চলাচলের নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

নন-কনফর্মিং এলাকার স্কুলগুলিকে স্বীকৃতি:
একই সঙ্গে, দিল্লি সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংস্কারমূলক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। শুক্রবার দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী অশীষ সূদ জানান, মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তর নেতৃত্বে সরকার নন-কনফর্মিং এলাকায় অবস্থিত বেসরকারি অনুদানবিহীন স্কুলগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ দিল্লির হাজার হাজার শিশুর সাংবিধানিক শিক্ষার অধিকার পুনরুদ্ধার করবে। এতদিন পর্যন্ত প্রশাসনিক জটিলতা ও আগের সরকারের বৈষম্যমূলক নীতির কারণে এইসব স্কুল স্বীকৃতি পায়নি, ফলে বহু শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় ভুগছিল।

Advertisements

নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, স্কুলগুলি এখন দিল্লি সরকারের শিক্ষা অধিদপ্তরের অনলাইন পোর্টালে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করতে পারবে। এই পোর্টালটি ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে চালু হয়েছে এবং আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০২৫। আবেদনপত্রগুলি যাচাইয়ের পর যেসব স্কুল সব শর্ত পূরণ করবে, তাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী অশীষ সূদ বলেন, “দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ইস্যুটি ফাইলের নিচে চাপা পড়ে ছিল। আগের সরকার কিছু স্কুলকে স্বীকৃতি দিয়ে বাকিদের বঞ্চিত করেছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তর নেতৃত্বে আমরা সেই অন্যায়ের অবসান ঘটিয়েছি।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এটি শুধু প্রশাসনিক সংস্কার নয়, এটি আমাদের শিশুদের প্রতি ন্যায়বিচার, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি ন্যায্যতা এবং দিল্লির শিক্ষাকে গণতান্ত্রিক করার এক বাস্তব পদক্ষেপ।”

দিল্লি সরকারের এই দুই বড় পদক্ষেপ—মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে বাসযাত্রা এবং নন-কনফর্মিং এলাকার স্কুলগুলিকে স্বীকৃতি—রাজধানীতে সামাজিক ন্যায় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নতুন দিক নির্দেশ করছে।