ত্রিপুরায় রথে বিদ্যুৎ স্পর্শে দর্শনার্থীরা পুড়ে কাঠ, প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ

বীভৎস। এভাবেই বর্ণনা করা যায় জ্বলন্ত দর্শনার্থীদের মৃত্যুর দৃশ্যে। রাজপথে একের পর এক দর্শনার্থীরা জ্বলছেন। সামনে রাখা উল্টো রথ নিথর। কেউ রশি টানবার নেই। দূর…

বীভৎস। এভাবেই বর্ণনা করা যায় জ্বলন্ত দর্শনার্থীদের মৃত্যুর দৃশ্যে। রাজপথে একের পর এক দর্শনার্থীরা জ্বলছেন। সামনে রাখা উল্টো রথ নিথর। কেউ রশি টানবার নেই। দূর থেকে চিৎকার। কে যাবে সাহায্য করতে, যে ছোঁবে সেই রথ তারই মৃত্যু। অথচ চোখের সামনে একের পর এক জন পুড়ে যাচ্ছেন। ভয়াবহ এ দৃশ্য ত্রিপুরার (Tripura) ঊণকোটি জেলার কুমারঘাটের।

বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় একের পর এক প্রশাসনিক গাফিলতির যে অভিযোগ উঠছে তারই জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে গেল উল্টো রথের আনন্দে মর্মান্তিক মৃত্যুমিছিল। অভিযোগ, প্রতিবারের মতো এবারও কুমারঘাটে রথ বের হবে তা জেনেও ঊণকোটি জেলা প্রশাসন বিদ্যুতের তার থেকে ও রথের চূড়া দূরত্বে রাখার ব্যবস্থা করেনি। তেমনই অভিযোগ, রথের সময় এলাকায় কেন বিদ্যুত সংযোগ কাটা হয়নি। কেন রথের চূড়া তারের সাথে স্পর্শ করবে জেনেও অতটা উঁচু করা হয়েছিল।

রাজপথে পড়ে থাকা দেহগুলোর পোড়া গন্ধের সাথে এই প্রশ্নগুলো উঠতে শুরু করেছে। তীব্র অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী ডা.মানিক সাহা কুমারঘাটে নিহত দর্শনার্থীদের প্রতি শোক জানিয়েছেন।

দুর্ঘটনা ঘটেছে কুমারঘাট ব্লক চৌমুহনিতে। উল্টো রথের চূড়ার সাথে বিদ্যুতের তারের সংযোগ হয়। মুহূর্তে পুরো রথে বিদ্যুত ছড়িয়ে পড়ে। রথের দড়ি যারা টানছিলেন তাদের অনেকে বিদ্যুৎ স্পর্শে ছিটকে পড়েন। তার ছিঁড়ে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলেই একের পর এক দর্শনার্থী পুড়তে থাকেন। ভয়াবগ এই দৃশ্য দেখে দেশবাসী শিহরিত।

পিটিআই জানাচ্ছে ঘটনাস্থলে নিহত সাত জন। আরও বহু জখম। তাদের চিকিৎসা চলছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। এদের অনেকে গুরুতর জখম। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার পর এলাকায় তীব্র ক্ষোভ। বারবার অভিযোগ উঠছে প্রশাসনিক গাফিলতির।