Petrol-diesel prices: পাঁচদিনে চারবার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ল, জনজীবনে দুর্ভোগ

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট মিটতেই দেশে জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এই নিয়ে পাঁচ দিনে চারবার পেট্রোল (Petrol) ও ডিজেলের (diesel) দাম বাড়ল। কয়েকদিন আগে…

Petrol and diesel prices in India

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট মিটতেই দেশে জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এই নিয়ে পাঁচ দিনে চারবার পেট্রোল (Petrol) ও ডিজেলের (diesel) দাম বাড়ল। কয়েকদিন আগে এক ধাক্কায় রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে সিলিন্ডার প্রতি ৫০ টাকা। জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে অশনিসঙ্কেত দেখছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের আশঙ্কা, জ্বালানির দাম বাড়ায় প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিশ্চিতভাবেই বাড়তে চলেছে।

শনিবার ভোর ৬টা থেকে কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রোলে ৮৩ পয়সা এবং ডিজেলে ৭৯ পয়সা দাম বাড়িয়েছে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা। এদিন কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ১০৮ টাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল। প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম হয়েছে ১০৮.০১ টাকা। অন্যদিকে ডিজেলের দাম হয়েছে ৯৩.০১ টাকা। করের হার বেশি হওয়ার কারণে মুম্বই ও চেন্নাইয়ে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম আরও অনেকটাই বেড়েছে।

শনিবার মুম্বইয়ে এক লিটার পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে ১১৩.৩৫ টাকা। অন্যদিকে ডিজেল পৌঁছে গিয়েছে প্রায় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায়। এদিন মুম্বইয়ে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ছিল ৯৯.৫৫ টাকা। করের হার কিছুটা বেশি হওয়ায় মুম্বইয়ে প্রতি লিটার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম যথাক্রমে ৮৪ ও ৮৫ পয়সা বেড়েছে।

২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে থেকেই নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রতিদিনই পেট্রোল ও ডিজেলের দাম একটু একটু করে বাড়িয়েছে। যদিও সরকারের দাবি জ্বালানি মূল্য নিয়ন্ত্রিত হয় বিশ্ব বাজারে।

২০২১-এর নভেম্বর পেট্রোল-ডিজেলের দাম সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর আমজনতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সকলেই তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এরই মধ্যে এসে পড়ে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। নির্বাচনের অংক কষে মোদি সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কিছুটা দাম কমিয়ে ছিল। সে সময়ে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, পাঁচ রাজ্যের ভোট মিটলে ফের জ্বালানির দাম বাড়বে। বাস্তবে ঠিক সেটাই হল।

পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতেই দেশে ফের বাড়তে শুরু করেছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। বর্তমানে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দিকে আঙুল তুলেছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, মোদী সরকারের এই যুক্তি একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। আমজনতাকে স্বস্তি দিতে সরকারের উচিত পেট্রোল ডিজেলের উপর চাপিয়ে রাখা বিপুল পরিমাণ করের বোঝা কিছুটা হ্রাস করা। করের বোঝা হালকা হলেই সাধারণ মানুষ স্বস্তির শ্বাস ফেলতে পারবেন।