ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র যতই ডঙ্কা বাজাক না কেন এখনও তিমিরেই পড়ে রয়েছে দেশের বেকার যুব সম্প্রদায়ের চাকরির আশা। তার কারণ আর্থিক বৃদ্ধি হলেও একটুও কমেনি বেকারত্বের হার (Unemploymentinindia) চাকরি নেই! আর্থিক বৃ্দ্ধি হলেও বেকারত্ব কমেনি ভারতে )। সম্প্রতি কেন্দ্রের শ্রমিকদের নিয়ে করা একটি সমীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। সেই সমীক্ষায় যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে বেকারত্ব ভয়াবহ আকার ধারন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ৩০ শতাংশ বেড়েছে।
জ্যোতি বসুর ‘ঐতিহাসিক ভুল’ নিয়ে বিস্ফোরক ফারুক আবদল্লাহ
তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে সারা দেশে এই বৃদ্ধির হার ১৯ শতাংশ হলেও মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ শতাংশ। পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স (Periodic Labour Force Survey) নামক ওই সমীক্ষায় বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশে বেকারত্ব ৩.২ শতাংশ। কেন্দ্রের এই সমীক্ষা সকলের মধ্যে বাড়তি ভয় ধরিয়েছে।
মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট কবে? বৈঠক শেষে জানাল কমিশন
ওই সমীক্ষাতে বলা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর সহ উত্তর-পূর্বে রাজ্যে মনিপুর, নাগাল্যান্ড, অরুনাচল প্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে ৮৩ শতাংশ বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। যা রীতিমতো উদ্বেগের বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।
সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে দেশে স্বনির্ভর যারা হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই কৃষির সঙ্গে যুক্ত। এদের মধ্যে অনেকেরই পরিবার কৃষিকাজ করেন। ফলে সেখান থেকে এরা অন্য কোনও কাজ না করে কৃষিতেই সময় দিয়েছে।
ছত্তিশগড়ের ভাল্লুকের আতঙ্কে দিন কাটাছেন গ্রামবাসীরা, নিহত ২
২০২০ সালের করোনাকাল থেকেই দেশে প্রবল কর্মসংস্থানের সংকট সৃষ্টি হয়। ফলে সেইসময় বহু মানুষের চাকরি হারানোয় দেশের কর্মক্ষেত্রে অস্থিরতাও দেখা দিয়েছিল। তবে করোনার পর থেকে অনেকটাই সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু দেশে সেভাবে শিল্পের বিকাশ না হওয়ায় কোনও ভাবেই নতুন চাকরি সৃষ্টি হচ্ছে না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। ২০১৪ সালে বছরে দু-কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এখন ২০২৪ সালে কর্মসংস্থানে এমন খরা কাটাতে কেন্দ্রের ঔদাসীন্যতাকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা।