Parliament Winter Session: বিরোধীদের হেনস্থা করতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পাল্টা চিৎকার বিজেপি সাংসদদের

Parliament Winter Session: Opposition, BJP protest near Mahatma Gandhi statue News Desk, New Delhi: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের (Winter Session) শুরুতেই রাজ্যসভা থেকে ১২ জন বিরোধী…

opposition MP

Parliament Winter Session: Opposition, BJP protest near Mahatma Gandhi statue
News Desk, New Delhi: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের (Winter Session) শুরুতেই রাজ্যসভা থেকে ১২ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড (Suspend) করা হয়েছে। সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে ওই সাংসদরা সংসদ ভবন (Parliament Bhavan) চত্বরে গান্ধী মূর্তির (Gandhi Statue) সামনে অনশন (Hunger Strike) করছেন।

শুক্রবার বিরোধীদের ধরনা মঞ্চের সামনে হই হট্টগোল শুরু করেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদরা। কার্যত বিরোধীদের উপর চড়াও হয় গেরুয়া দলের সাংসদরা। বিজেপি সাংসদদের এই আচরণে রীতিমতো উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। বিষয়টি রাজ্য সভায় জানানো হলেও চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেননি।

নির্দিষ্ট সূচি মেনে শুক্রবারও গান্ধী মূর্তির সামনে রাজ্যসভার ১২ জন বিরোধী সংসদ ধরনা দিচ্ছিলেন। ওই সাংসদদের কটাক্ষ করতেই রাজ্যসভার বেশকিছু বিজেপি সাংসদ সেখানে হাজির হন। বিজেপি সাংসদরা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। বিরোধী সাংসদদের কটাক্ষ করে রীতিমতো স্লোগান দিতে ও নানা মন্তব্য করতে থাকেন বিজেপি সাংসদরা। বিজেপি সাংসদের হাতে ছিল গণতন্ত্র বাঁচাও লেখা প্লাকার্ড। লেখা ছিল গুন্ডাগিরি চলবে না।

স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা বিজেপি সাংসদদের আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানান। প্রথমে তাঁরা সরকারপক্ষের সাংসদদের অন্যত্র বিক্ষোভ দেখানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু বিজেপি সাংসদরা সেই অনুরোধ রক্ষা না করায় উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। বেশ কিছুক্ষণ তর্কাতর্কি চলার পরে বিরোধী সাংসদরাই ধরনাস্থল ছেড়ে সংসদ কক্ষে ঢুকে পড়েন। বিরোধীদের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু বিরোধীদের অভিযোগককে আদৌ গুরুত্ব দেননি। চেয়ারম্যান বলেন, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে যে কেউ বিক্ষোভ দেখাতে পারেন। তাই বিরোধীরা যেমন সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন, তেমনই শাসক শাসক দলের বা অন্য কোনও দলের সাংসদরাও সেখানে বিক্ষোভ দেখালে সরকারের কিছু করার থাকে না।

কিন্তু রাজনৈতিক মহল স্পষ্ট জানিয়েছে, আসলে বিজেপি সাংসদরা মানুষের নজর ঘোরাতেই এটা করেছে। কারণ বিরোধীরা যেভাবে একটানা বিক্ষোভ দেখিয়ে চলেছে তাতে অনেকেই তাঁদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন। তাছাড়া বিরোধীরা অনেক আগে থেকেই তাঁদের কর্মসূচি ঘোষণা করে সেখানে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। বিজেপির যদি বিক্ষোভ দেখানোই উদ্দেশ্য হত তাহলে তারা সংসদ চত্বরের অন্য কোনও জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে পারত। আসলে বিজেপির একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল পায়ে পা দিয়ে ঝামেলা বাধানো। চিৎকার-চেঁচামেচি, হই-হট্টগোল করে বিরোধীদের বাধা সৃষ্টি করা।

এদিনই ত্রিপুরার পুরভোটে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে একটি মুলতবি প্রস্তাব পেশ করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের সঙ্গে সেই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছে আরজেডি, সিপিআই, সিপিএম এবং আপ।