Parliament Security: সংসদ হামলার পেছনে শত্রু দেশের ষড়যন্ত্র? তদন্তের গতি বাড়াল পুলিশ

সংসদের নিরাপত্তা (Parliament Security) লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা। তিনি এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন, যাতে তারা সরকারকে তাদের দাবি মেনে…

Parliament security Breach

সংসদের নিরাপত্তা (Parliament Security) লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা। তিনি এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন, যাতে তারা সরকারকে তাদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য করতে পারে। সূত্রের খবর, ১৩ ডিসেম্বরের ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য পুলিশ সংসদের কাছ থেকে অনুমতি চাইতে পারে। ২০০১ সালের পার্লামেন্ট হামলার বার্ষিকীতে এই ঘটনা ঘটেছিল।

ললিতকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতারের পর শুক্রবার সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পাতিয়ালা হাউস কোর্টে পুলিশ দাবি করেছে যে ঝা স্বীকার করেছেন যে অভিযুক্তরা সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ষড়যন্ত্রের জন্য বেশ কয়েকবার একে অপরের সাথে দেখা করেছিলেন।

এ ছাড়া কোনও শত্রু দেশ বা জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তের নির্দেশ সম্পর্কে এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তারা ললিতকে রাজস্থানে নিয়ে যাবেন, যেখানে তিনি তার ফোন ছুঁড়ে ফেলেছিলেন এবং অন্যদের ফোন পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। ঘটনার পর তিনি রাজস্থানে পালিয়ে যান, সেখানে দু’দিন ছিলেন।

সূত্রের খবর, ঘটনার পর ললিত রাজস্থানের নাগৌরে পালিয়ে যান। সেখানে তাঁর খুড়তুতো ভাই কুমাওয়াত ও কৈলাশ থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন। এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সংসদের অভ্যন্তরে এবং সংসদ ভবনের বাইরে এই ঘটনা নাটকীয়ভাবে তুলে ধরার অনুমতি চাইতে পার্লামেন্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করছি। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হওয়ার পর ললিত স্বীকার করেছেন যে তিনি দিল্লি-জয়পুর সীমান্তের কাছে তার ফোনটি ফেলে দিয়েছিলেন এবং অন্য অভিযুক্তদের ফোন নষ্ট করেছিলেন।

অভিযুক্তরা যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছিল এবং ঘটনার আগে রেকি করতে বেশ কয়েকবার দিল্লি গিয়েছিল, এ থেকে এর পেছনে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশ ওই ব্যক্তিকে খুঁজছে, যিনি অভিযুক্তকে ক্যানিস্টারকে জুতার মধ্যে লুকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছিলেন।

পুলিশ জনিয়েছে ‘বেকারত্ব’ নিয়ে বিরক্ত ছিল ললিত। পাতিয়ালা হাউস কোর্টে শুনানির সময় ঝা প্রকাশ করেছিলেন যে তারা দেশে অরাজকতা তৈরি করতে চেয়েছিলেন যাতে তারা সরকারকে তাদের দাবি পূরণে বাধ্য করতে পারে।