পরবর্তী যুদ্ধে লজ্জা ঢাকতে ফাঁস হল পাক সেনাবাহিনীর নয়া চাল

pakistan-army-internet-shutdown-plan-next-india-war

নয়াদিল্লি: ২০২৫ সালের মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী একটি গোপন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে, যা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে।

Advertisements

গতকাল একটি গোপন সামরিক সভায় আলোচনা হয়েছে যে, পরবর্তী যুদ্ধে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের সময় সারাদেশে ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর কারণ, এবারকার সংঘর্ষে ভাইরাল হওয়া ভারতীয় হামলার ভিডিওগুলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বিশ্বের সামনে লজ্জিত করেছে।

   

বিহারের ধাক্কা ভুলে এই রাজ্যকে পাখির চোখ হাত শিবিরের

শুধুমাত্র ‘পাকিস্তান প্রোপাগান্ডা ফোর্স’-এর মাত্র ৩ হাজার সদস্যই বিশেষ অ্যাক্সেস পাবেন, যাতে তারা সরকারি ন্যারেটিভ ছড়াতে পারে। এই পরিকল্পনা যেন সামরিক নিয়ন্ত্রণের নতুন অধ্যায়, যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সামাজিক যোগাযোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিজেপি নেতারা এটাকে ‘পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতার প্রমাণ’ বলছেন, যখন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলছে, এমন ব্যবস্থা জনগণের অধিকারের উপর আঘাত হানবে।

ঘটনার পটভূমি ফিরে তাকালে মনে পড়ে ২২ এপ্রিল, ২০২৫-এ জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় ২৬ নিহতের ঘটনা। ভারত অভিযোগ করে যে, এটি পাকিস্তান-সমর্থিত জৈশ-ই-মোহাম্মদের কাজ। তারপর ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুরের অধীনে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাকিস্তান দাবি করে যে, তারা ১৬টি ভারতীয় রাফালে যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে, কিন্তু ভাইরাল ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে ভারতীয় বিমানগুলো পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করছে।

Advertisements

এমনকি পাকিস্তান সরকারের অফিসিয়াল এক্স (টুইটার) হ্যান্ডেল থেকে ভুল করে একটি ভিডিও গেম ‘আর্মা ৩’-এর ফুটেজ শেয়ার হয়ে যায়, যাতে একটি জেটকে টার্গেট করা হচ্ছে। তথ্যমন্ত্রী আত্তাউল্লাহ তারার এই ভিডিওকে ‘সময়োপযোগী এবং উত্তেজনাপূর্ণ প্রতিক্রিয়া’ বলে প্রশংসা করেন, কিন্তু পরে এটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে সেনাবাহিনীর মর্যাদা আরও ক্ষুণ্ণ হয়।

এই ঘটনায় পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) – সেনাবাহিনীর প্রোপাগান্ডা শাখা – বিশাল লজ্জার মুখোমুখি হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ লক্ষ লোক ভারতীয় হামলার ভিডিও শেয়ার করে, যাতে পাকিস্তানের এফ-১৬ এবং জে-১০সি বিমানগুলোর ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। চীনের ডুয়ানপ্ল্যাটফর্ম ডুয়েটিওকেও একটি প্যারোডি ভিডিও ভাইরাল হয়, যা ভারতকে উপহাস করে এবং পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দ্বারা রিপোস্ট করা হয়।

এই ডিজিটাল যুদ্ধে পাকিস্তানের মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা উল্টো ফিরে আসে, যা সেনাবাহিনীকে ‘অক্ষম’ বলে চিহ্নিত করে। ওয়াশিংটন এক্সামিনার এবং ইউকে ডিফেন্স জার্নালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ভাইরাল কনটেন্ট সেনাবাহিনীর প্রতিটি দাবিকে খণ্ডন করেছে। ফলে, সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির নেতৃত্বে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে ‘ইনফরমেশন ওয়ারফেয়ার’-এর জন্য নতুন কৌশল তৈরি করবে।