India Pakistan Ceasefire: ‘যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের হাত নেই’! স্বীকারোক্তি পাক মন্ত্রীর

ইসলামাবাদ, ১৬ সেপ্টেম্বর: পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে (India Pakistan Ceasefire)বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, ভারত পাক যুদ্ধ বিরতিতে…

India Pakistan Ceasefire

ইসলামাবাদ, ১৬ সেপ্টেম্বর: পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে (India Pakistan Ceasefire)বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, ভারত পাক যুদ্ধ বিরতিতে ভারত তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই স্বীকারোক্তি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই স্বীকারোক্তি স্পষ্টতই প্রমান করে ভারত পাক যুদ্ধ বিরতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কোনো ভূমিকা নেই।

আল জাজিরার সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে দার বলেন, ভারত সর্বদা জোর দিয়ে বলেছে যে, এটি একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ গ্রহণ করবে না। এই মন্তব্যটি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে একটি বড় স্বীকারোক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এর আগে পাকিস্তান প্রায়ই আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার দাবি তুলেছে, বিশেষ করে কাশ্মীর ইস্যুতে।

   

মে মাসের ১০ তারিখের যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপটে এই স্বীকারোক্তি করেছেন দার। দার জানান, ২৫ জুলাই ওয়াশিংটনে মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিওর সঙ্গে একটি বৈঠকে তিনি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার অবস্থা জানতে চান। রুবিও তাঁকে জানান যে, ভারত স্পষ্টভাবে বলেছে এটি দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা গ্রহণ করবে না।

দার আরও বলেন, “ভারত সর্বদা বলে আসছে এটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়।” এই মন্তব্য ভারতের অবস্থানকে স্পষ্ট করে, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জুন মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি ফোনালাপে পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রী জানান, “প্রধানমন্ত্রী মোদী জোর দিয়ে বলেছেন যে, ভারত কখনো মধ্যস্থতা গ্রহণ করেনি, করে না এবং করবে না।” এই ফোনালাপটি প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে হয় এবং এতে ভারতের অবস্থান স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে একটি জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে। এই অপারেশনে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

Advertisements

চার দিনের সংঘর্ষের পর পাকিস্তানের সামরিক অপারেশনস ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিএমও) যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতি স্থাপন করে। দারের স্বীকারোক্তি এই অপারেশনের সময় ভারতের অবস্থানকে নিশ্চিত করে, যা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে একটি বড় স্বীকারোক্তি।

এই স্বীকারোক্তির প্রভাব ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উপর পড়তে পারে। ভারতের পক্ষ থেকে দারের এই স্বীকারোক্তিকে ভারতের জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এটি পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার দাবিকে দুর্বল করে।

ভারতে লঞ্চ হল Samsung Galaxy S25 FE 5G, জানুন দাম ও ফিচার

অন্যদিকে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এটি বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে, কারণ দেশটি প্রায়ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য শক্তির মধ্যস্থতা চেয়েছে। আমেরিকার ভূমিকা এখানে উল্লেখযোগ্য, কারণ ট্রাম্প প্রশাসনের সময় মধ্যস্থতার দাবি উঠেছিল, কিন্তু ভারত সর্বদা তা প্রত্যাখ্যান করেছে।