কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি ভাঙতে সেনার কড়া পদক্ষেপ, চার এলাকায় এনকাউন্টার জারি

কাশ্মীর উপত্যকায় পাহেলগাঁওতে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ জঙ্গি হামলার এক সপ্তাহ পেরোতেই নিরাপত্তা বাহিনী রাজ্যজুড়ে কড়া সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার উপত্যকার…

Pahalgam Terror Attack Fallout: Four Major Counter-Terror Operations Underway Across Kashmir

কাশ্মীর উপত্যকায় পাহেলগাঁওতে (Pahalgam Attack) ভয়াবহ জঙ্গি হামলার এক সপ্তাহ পেরোতেই নিরাপত্তা বাহিনী রাজ্যজুড়ে কড়া সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে অন্তত চারটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান একযোগে চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে দুটি অভিযান পূর্ববর্তী এনকাউন্টারের ধারাবাহিকতা হিসেবে চলছে, এবং দুটি নতুনভাবে শুরু হয়েছে দক্ষিণ কাশ্মীরের অতি স্পর্শকাতর অঞ্চলে।

বিশেষ করে, দক্ষিণ কাশ্মীরের (Pahalgam Attack) শোপিয়ান জেলার ‘ইয়ারওয়ান’ অরণ্য এলাকায় বড়সড় একটি যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে, যেখানে সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর (Pahalgam Attack) পুলিশের যৌথ বাহিনী অংশ নিয়েছে। পাশাপাশি পুলওয়ামা জেলাতেও আরও একটি অভিযান চলছে, যেখানে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের উপস্থিতি টের পেয়েই ঘিরে ফেলার অভিযান চালানো হচ্ছে।

   

নিরাপত্তা জোরদার, বন্ধ ৫০টির বেশি পার্ক ও পর্যটনকেন্দ্র

সন্ত্রাসবিরোধী (Pahalgam Attack) অভিযানকে আরও কার্যকরী করতে প্রশাসন উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে যেসব স্থান আগে বিকল্প পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রচারিত হয়েছিল, সেগুলিকে আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পর্যটকদের (Pahalgam Attack) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, উপত্যকার ৮৭টি জনসাধারণের পার্ক ও উদ্যানের মধ্যে ৪৮টির গেট তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রাখা হয়েছে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোও — যার মধ্যে রয়েছে ডুডপাথরি, কোকেরনাগ, দুকসুম, সিন্থান টপ, আচাবল, বঙ্গুস ভ্যালি, মারগান টপ এবং তোসামাইদান।

এই সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন পর্যটনের জন্য একটি বড় ধাক্কা, অন্যদিকে নিরাপত্তার দিক থেকে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পাহেলগাঁও হামলা (Pahalgam Attack) : রক্তাক্ত স্মৃতি

গত সপ্তাহে দক্ষিণ কাশ্মীরের (Pahalgam Attack) অনন্তনাগ জেলার পাহেলগাঁও-র বিখ্যাত বৈসারান মেঠোতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ জঙ্গি হামলা কাশ্মীরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। ঘটনাস্থলে জঙ্গিরা পর্যটকদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। মৃত্যু হয় ২৬ জনের, আহত হন আরও অনেক। নিহতদের অধিকাংশই ছিলেন রাজ্যের বাইরে থেকে আসা পর্যটক, যাঁরা বসন্তকালে উপত্যকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছিলেন।

এই ঘটনায় গোটা দেশের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে রাজ্য প্রশাসন অবিলম্বে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেয়। পাহেলগাঁও হামলার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উপত্যকায় সক্রিয় বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান আরও তীব্র করা হয়।

দক্ষিণ কাশ্মীরে জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভাঙার চেষ্টা

সেনা ও পুলিশের একাধিক শীর্ষ সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ কাশ্মীরের (Pahalgam Attack) জঙ্গি কার্যকলাপ অনেকটাই স্থানীয়ভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে সীমান্তপারের সহায়তাও রয়েছে। তাই দক্ষিণ অঞ্চলের জেলাগুলিতে, বিশেষ করে শোপিয়ান, পুলওয়ামা (Pahalgam Attack) এবং অনন্তনাগে নজরদারি ও তল্লাশি অভিযান অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে।

ঘন জঙ্গল ও পাহাড়ঘেরা এলাকাগুলিতে ড্রোন নজরদারি, থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা এবং রাত্রিকালীন অভিযান জোরদার করা হয়েছে। সেনা সূত্রের মতে, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হচ্ছে।

কাশ্মীর উপত্যকায় পাহেলগাঁও (Pahalgam Attack) হামলার পর পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। পর্যটনের ঋতুতে জঙ্গি হামলা কেবল সাধারণ মানুষের প্রাণনাশ ঘটায়নি, বরং গোটা উপত্যকার শান্তিপূর্ণ ভাবমূর্তিতে চরম আঘাত করেছে। বর্তমান চারটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান কেবল প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নয়, বরং উপত্যকার দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।