প্রতি বছরেই বিভিন্ন সময়ে ভারতে নানা ধরনের বোমা হামলার (Delhi Bomb Threat) হুমকি আসে, কিন্তু সোমবারের ঘটনা ছিল বিশেষভাবে আতঙ্কজনক। দিল্লির ৪৪টি স্কুলে বোমা হামলার হুমকি (Delhi Bomb Threat) পেয়েছিল, যার মধ্যে অন্যতম ছিল দিল্লি পাবলিক স্কুল (ডিপিএস) আর কে পুরম এবং জি ডি গোয়েঙ্কা স্কুল, পাশিম বিহার। এই হুমকির (Delhi Bomb Threat) পরিপ্রেক্ষিতে তড়িঘড়ি করে স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি পাঠানো হয় এবং পুলিশকে অবহিত করা হয়।
এই বোমা হামলার হুমকি ইমেলের মাধ্যমে এসেছিল, এবং ইমেলটি রাত ১১:৩৮-এ পাঠানো হয়েছিল বলে জানা গেছে। ইমেলে বলা হয়েছিল, স্কুল ভবনের ভিতরে ছোট ছোট বোমা (Delhi Bomb Threat) রাখা হয়েছে, যেগুলি খুব ভালোভাবে লুকানো। ইমেলে আরও বলা হয়, “বোমাগুলি (Delhi Bomb Threat) খুব ভালোভাবে সজ্জিত এবং আঘাত করতে সক্ষম।”
এছাড়া, পাঠানো ইমেলটি একটি টাকা দাবি করে। হুমকি দেওয়া হয়েছিল যে, বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করতে ৩০,০০০ ডলার দাবি করা হয়েছে। “এটি ভবনটিকে বেশি ক্ষতি করবে না, তবে অনেক মানুষ আহত হবে যখন বোমাগুলি বিস্ফোরিত হবে। আপনাদের সবাইকে কষ্ট পেতে হবে এবং পঙ্গু হতে হবে,” হুমকি দিয়ে ইমেলটির লেখক জানিয়েছিল৷ দিল্লি পুলিশ ইমেলের আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে এবং পাঠকের অবস্থান জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে। বর্তমানে, তারা ঐ বিশেষ ইমেলটি পাঠানোর ব্যক্তিকে শনাক্ত করার জন্য চেষ্টা করছে। এই সময়ে স্কুলগুলির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এই হুমকির পর স্কুলগুলির মধ্যে তৎপরতা বাড়ে। সকাল ৬:১৫-এ প্রথম কলটি আসে জি ডি গোয়েঙ্কা স্কুল থেকে, যেখানে বলা হয়েছিল যে, তাদের স্কুলে বোমা রাখা হয়েছে। তার পরপরই ৭:০৬-এ ডিপিএস আর কে পুরম থেকে দ্বিতীয় কলটি আসে। বোমা স্কোয়াড এবং পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর স্কুলগুলিতে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়ি পাঠানো হয়। স্কুলের শিক্ষক ও কর্মীরা পরিস্থিতি সামলানোর জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। দিল্লি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট এবং বোমা স্কোয়াড দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তারা স্কুলগুলির ভিতরে সমস্ত সেকশন পরীক্ষা করে। যদিও কোনও বোমা পাওয়া যায়নি, তবুও কর্তৃপক্ষ পুরো পরিস্থিতির বিষয়ে সতর্ক থাকে এবং আরও তদন্ত করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অতিরিক্ত সচেতনতা তৈরি করা হয় এবং ছাত্রদের মা-বাবাকে আরও সাবধান থাকতে বলা হয়।
এ ধরনের হুমকির পর অভিভাবকরা খুবই উদ্বিগ্ন ছিলেন। অনেকে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে কিছুটা হলেও দ্বিধা অনুভব করেছিলেন। কিছু অভিভাবক স্কুলে এসে সন্তানদের বাড়ি নিয়ে যান, আর অনেকে সামাজিক মাধ্যমে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান। এই ধরনের পরিস্থিতি সচরাচর ঘটলেও, দিল্লির মতো একটি বড় শহরে এত সংখ্যক স্কুলে একযোগভাবে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া একটি বিরাট উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এ ধরনের হুমকির পর প্রশাসনের পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে। দিল্লি পুলিশ তাদের তদন্তে তৎপরতা দেখাচ্ছে, এবং আশা করা হচ্ছে যে, দ্রুত সময়ের মধ্যে হুমকির পিছনে থাকা ব্যক্তি শনাক্ত হবে। পুলিশ ও প্রশাসন জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং এমন ধরনের ঘটনা পুনরায় যাতে না ঘটে, সেজন্য আরও পদক্ষেপ নিতে চাইছে।