ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশ! সীমান্ত পেরিয়ে প্রাণভয়ে ভারতে ফিরছেন পড়ুয়ারা

অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল ঢাকা। সেনার প্রতিরোধের মুখে ইতিমধ্যেই নিহতের সংখ্য়া শতাধিক। শুক্রবার রাত থেকে বাংলাদেশ জুড়ে জারি করা হয়েছে কার্ফু। বন্ধ সে…

Over 300 Indian Students Return Home As 105 Bangladeshis Die In Protests

অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল ঢাকা। সেনার প্রতিরোধের মুখে ইতিমধ্যেই নিহতের সংখ্য়া শতাধিক। শুক্রবার রাত থেকে বাংলাদেশ জুড়ে জারি করা হয়েছে কার্ফু। বন্ধ সে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরলেন ৩০০-র বেশি পড়ুয়া। বেশিরভাগই উত্তর পূর্বের ত্রিপুরা, মেঘালয় সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে প্রবেশ করেছেন শুক্রবার। যাঁরা দেশে ফিরেছেন, তাঁদের বেশিরভাগই উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, মেঘালয়, জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। দেশে ফিরতে জন্য মূলত দু’টি রাস্তা বেছেছেন পড়ুয়ারা। এক দল ফিরেছেন ত্রিপুরায় আগরতলার আখুরা স্থলবন্দর দিয়ে। অন্য দল, মেঘালয়ের ডাওকী স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছেন।

ভারতে ফিরে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন এবং দেখছিলেন পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার বাংলাদেশজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টেলিফোন পরিষেবাও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ফলে আপাতত ভারতের পড়ুয়ারা বাংলাদেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বাংলাদেশে পড়তে গিয়েছিলেন হরিয়ানার আমির। তিনিও দেশে ফিরেছেন। আমিরের কথায়, “আমি চট্টগ্রামের মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে এবং অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যে কারণে আমরা ফিরে এসেছি। আরও অনেক শিক্ষার্থীও ফিরে এসেছে। ইন্টারনেট কাজ করছে না এবং আমরা আমাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। আমরা ফ্লাইটের টিকিট পাচ্ছিলাম না। উড়ানে সোজা বাড়ি ফেরার বদলে আগরতলার আখুরা হয়ে ফিরতে হচ্ছে।”

রক্তাক্ত বিক্ষোভ থামাতে বাংলাদেশে ‘দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ’

Advertisements

ওই কলেজের আরেক ছাত্র মোহাম্মদ ফয়েজ আবদুল্লা খান বলেন, “মঙ্গলবার পর্যন্ত পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। তারপরই অবস্থার চরম অবনতি হয়। সেদেশের প্রশাসনও আমাদের বাংলাদেশ ছাড়তে বলে। আমরা জানি যে, কোটা আন্দোলন চলছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকবে এবং আমরা যখন অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলি, তখন তিনি পরামর্শ দেন যে আমরা যদি নিরাপত্তাহীন বোধ করি তবে আমরা ভারতে ফিরে যেতে পারি। ভারতীয় দূতাবাসের লোকেরাও একই কথা বলেছেন। আমরা কোনও মতে গাড়ি বাড়া করে আগরতলা সীমান্তে পৌঁছেছি।”

মেঘালয়ে ভারত সরকারের এক আধিকারিক জানান যে, বিক্ষোভের কারণে ২০০ জনেরও বেশি ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করেছে। ভুটান ও নেপাল থেকেও কিছু ছাত্র ভারতে প্রবেশ করেছে। এ দেশে ফেরা ছাত্রদের মধ্যে ৬৭ জন মেঘালয়ের এবং ৭ জন ভুটানের। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ভারতীয়দের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের সুবিধায় বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে।