নয়াদিল্লি: ভারতের নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে নতুন বিতর্ক। কংগ্রেসের অভিযোগে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমার। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভোট চুরি’-র অভিযোগকে সরাসরি খারিজ করে তিনি বলেন, “ভোট চুরি অসম্ভব, একজন ভোটার একবারই বোতাম টিপতে পারেন।”
সূত্রের খবর, বিরোধী জোট এখন কুমারের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট নোটিশ আনার বিষয়টি বিবেচনা করছে। কংগ্রেস সাংসদ ইমরান প্রতাপগঢ়ী বলেন, “আমরা খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেব।” তবে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনারকে অপসারণ করতে গেলে সংসদের দুই কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দরকার, যা বিরোধীদের হাতে নেই।
কুমারের পাল্টা সওয়াল
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে কুমার অভিযোগকারীদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, “যদি রাহুল গান্ধীর অভিযোগ সত্য হয়, তবে তিনি সাত দিনের মধ্যে হলফনামা দিন, না হলে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চান।” তিনি কংগ্রেস নেতার উপস্থাপিত “পিপিটি প্রেজেন্টেশন”-কে ভুল বিশ্লেষণ বলে দাবি করেন।
কুমারের বক্তব্য, ভোটার তালিকায় ডুপ্লিকেট নাম থাকলেই ‘ভোট চুরি’ হয় না। “একজন ভোটারের নাম দুটি বুথে থাকলেও, তিনি ভোট দেন মাত্র একবার। দুই জায়গায় ভোট দেওয়া অপরাধ।”
নির্দিষ্ট অভিযোগে কমিশনের ব্যাখ্যা Opposition seek impeachment of CEC
রাহুল গান্ধী অভিযোগ তুলেছিলেন, অনেক ভোটারের ঠিকানা ‘হাউস নাম্বার জিরো’, আবার এক ঠিকানায় ডজনখানেক ভোটার তালিকাভুক্ত। কমিশনের মতে, এগুলোকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রালের মহাদেবপুরা বিধানসভা আসনের কথা উল্লেখ করেন কুমার—যেখানে এসব তথাকথিত অনিয়মের মাঝেও কংগ্রেস ২০২৩ সালের নির্বাচনে জিতেছিল।
বিহারে ভোটার তালিকা বিশেষ সংশোধনী (SIR) নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের দাবি, প্রক্রিয়া তাড়াহুড়োয় চালানো হচ্ছে। কুমার তা খারিজ করে বলেন, আইন অনুযায়ী প্রতিটি নির্বাচনের আগে তালিকা সংশোধন বাধ্যতামূলক। এই বছর ২৪ জুন থেকে শুরু হওয়া সংশোধনী প্রক্রিয়া ২০ জুলাইয়ের মধ্যেই প্রায় শেষ হয়েছে।
২২ লক্ষ মৃত ভোটারের নাম মুছে ফেলার অভিযোগ নিয়েও কুমার পরিষ্কার করেন-এগুলো ছয় মাসের নয়, প্রায় ২০ বছরের অমিল একসঙ্গে সংশোধন করা হয়েছে।
বিরোধীদের অভিশংসন ভাবনা
রাহুল গান্ধী ও আরজেডি-সহ একাধিক বিরোধী দল কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তুলছে। বিরোধীরা ইমপিচমেন্ট নোটিশ আনার ভাবনা শুরু করলেও কার্যত সাংসদীয় সংখ্যার সমীকরণে সেটি সফল হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
জ্ঞানেশ কুমারের সাফ বার্তা, “নির্বাচন কমিশন সব ধর্ম ও সব সম্প্রদায়ের ভোটারের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। সত্যকে শুনতে সাহস থাকতে হবে।”
Bharat: CEC Gyanesh Kumar strongly refutes Rahul Gandhi’s ‘vote theft’ claims, calling them impossible and demanding an affidavit or an apology. This escalates the dispute over the ECI’s impartiality, with Congress reportedly considering an impeachment notice against the Election Commissioner.