নয়াদিল্লি: ‘অপারেশন সিদুর’ (Operation Sindoor)-এর পরেও শিক্ষা হয়নি রাষ্ট্রপুঞ্জ-দ্বারা ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার (LeT)। ২২ এপ্রিল পহেলগাম হামলার পর ৭ মে অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানের ৯ টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। ফের মসজিদের আড়ালে নতুন জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি তৈরি করছে লস্কর বলে জানা গিয়েছে। আফগানিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র ৪৭ কিলোমিটার দুরত্বে খাইবার পাখতুনখোয়ার লোয়ার দির অঞ্চলে পুরোদমে নতুন জঙ্গিঘাঁটি বানানোর স্যাটেলাইটে ছবি ধর পড়েছে।
সূত্রের খবর, ২০০৬ সালে হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের অন্যতম মাথা জাসর জাভেদের তত্ত্বাবধানে এই ক্যাম্পটি তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে আধুনিক জিহাদি শিক্ষা ও অস্ত্রচালনার ট্রেনিং দেওয়া হবে। ধর্মীয় স্থানের আড়ালে জঙ্গিঘাঁটি তৈরি কড়া লস্করের বরাবরের কৌশল। এবারেও একটি মসজিদের পাশেই মরকজ জিহার-ই-আকসা নামক জঙ্গিঘাঁটিটি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, পাশাপাশি হিজবুল মুজাহিদিন (HM) এবং জইশ-ই-মোহাম্মদ (JeM)ও ওই অঞ্চলে সমান্তরাল ঘাঁটি স্থাপন করছে। গত সপ্তাহে স্যাটেলাইটে ধরা পড়া ছবি ও ভিডিও থেকে স্পষ্ট যে পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (ISI) ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসী অভিযানের ফের একটি সমন্বিত পরিকল্পনা করছে। এদিকে বিশ্ব দরবারে সন্ত্রাসদমনের আস্ফালন করলেও ভারতের উপর হামলার জন্য পাকিস্তান যে শুধুমাত্র জঙ্গিদের আশ্রয়ই নয়, বরং রাষ্ট্রীয় সাহায্যও দেয় ফের একবার তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
সূত্রমতে, ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী ভিম্বর-বারনালায় মারকাজ আহলে হাদিস স্থাপনা ধ্বংস করার পর তার পরিবর্তে মরকাজ জিহাদ-ই-আকসা সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাড লস্করের জান-ই-ফিদাই ফিদায়েন ইউনিটের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর নজর এড়াতে আফগান-সীমান্তের কাছাকাছি এই লঞ্চপ্যাড বানাচ্ছে লস্কর বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এতে তাদের খুব একটা লাভ হবে না, কেননা, পাল্টা প্রত্যাঘাতের প্রয়োজন হলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এত দূরবর্তী স্থানেও হামলা করার ক্ষমতা রাখে বলে সূত্রের মত।