Rajasthan: পিঙ্কসিটিতে গ্যাংস্টারদের ওপেন চ্যালেঞ্জ, ১৯ রাউন্ড গুলি, বলল- সবকা নম্বর আয়েগা

রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে (Jaipur) পুলিশ ও সাধারণ মানুষকে উন্মুক্ত চ্যালেঞ্জ দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পিঙ্কসিটির জওহর সার্কেল থানা এলাকায় অবস্থিত জি-ক্লাবে ১৯ রাউন্ডের বেশি গুলি চালিয়ে এই চ্যালেঞ্জকে করেছে গ্যাংস্টাররা।

Open challenge of gangsters in Jaipur Rajasthan, fired 19 rounds

রাজস্থানের (Rajasthan) রাজধানী জয়পুরে (Jaipur) পুলিশ ও সাধারণ মানুষকে উন্মুক্ত চ্যালেঞ্জ দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পিঙ্কসিটির জওহর সার্কেল থানা এলাকায় অবস্থিত জি-ক্লাবে ১৯ রাউন্ডের বেশি গুলি চালিয়ে এই চ্যালেঞ্জকে করেছে গ্যাংস্টাররা। ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও গুলি করে গোলাপি শহরে আতঙ্কিত দুর্বৃত্তদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। গুলি চালানো দুর্বৃত্তরা কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণাই গ্যাংয়ের সাথে জড়িত। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে গুলি চালানোর দায়িত্ব নেন তিনি। শুধু তাই নয়, অপরাধ স্থলে স্লিপ ছুড়ে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন, মনে রাখবেন সবার নম্বর আসবে।

ডিসিপি ইস্ট রাজীব পাচার জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর ১টার দিকে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। একটি বাইকে চড়ে ৩ জন দুর্বৃত্ত জি-ক্লাবের বাইরে গেটে ১৯ রাউন্ড গুলি চালায়। এর পর দুর্বৃত্তরা কাগজে লেখা হুমকিটি ক্লাবের গেটে ছুড়ে পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তদের কিছু ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। ফুটেজের ভিত্তিতে দুষ্কৃতীদের খোঁজ করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গুলি চালানোর দায়িত্ব নিয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই গ্রুপের হৃতিক বক্সার। তা যাচাই করা হচ্ছে।

জয়পুরের ডিসিপি জানান, পুলিশ দুর্বৃত্তদের সম্ভাব্য আস্তানায় অভিযান চালাচ্ছে। জেলা স্পেশাল টিম ইস্টের পাশাপাশি কমিশনারেট স্পেশাল টিমকেও দুর্বৃত্তদের ধরতে মোতায়েন করা হয়েছে। ক্লাব অপারেটরদের সঙ্গে দুর্বৃত্তদের কোনো শত্রুতা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর পুলিশ এ-ক্যাটাগরির অবরোধও করে, তবে দুর্বৃত্তদের কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে জি ক্লাবের মালিক অক্ষয় গুরনানি একটি মামলা করেছেন। পুলিশ পুরো বিষয়টির গভীর তদন্তে নিয়োজিত রয়েছে।

গুলি চালিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর পর, লরেন্স বিষ্ণোই গ্রুপের হৃতিক বক্সার তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে এই গুলি চালানোর দায়িত্ব নিয়েছেন। বখাটে হৃতিক বক্সার পোস্ট করে লিখেছেন, ‘রাম-রাম জয়পুর। জি-ক্লাব জয়পুরে যে গুলি চালানো হয়েছিল তা করেছিল হৃতিক বক্সার, আনমোল বিষ্ণোই (লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং)। মনে রাখবেন সবার নাম্বার আসবে। হেল বলকারি। এলবি গ্যাং।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালানোর দায়িত্ব নেওয়ার পর জয়পুর পুলিশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। দুর্বৃত্তরা এখন জয়পুর পুলিশকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করছে এবং তাদের সামনে তারা অসহায় হয়ে তাকিয়ে আছে। লক্ষণীয় যে লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠীর দোসররা জয়পুর পুলিশকে ক্রমাগত চ্যালেঞ্জ করে চলেছে। এখানে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। গুন্ডারা এখন প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে সন্ত্রাস ছড়াতে শুরু করেছে।