নিউড ডেস্ক, নয়াদিল্লি: মাত্র এক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতিটা আমূল বদলে গিয়েছে। ডিসেম্বরের (december) শুরুর দিকেও দৈনিক করোনা সংক্রমণের (corona infection) সংখ্যা ছিল ৬ হাজারের আশেপাশে। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম দিনেই গোটা দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৭৭৫ জন। ৬ অক্টোবরের (october) পর এই প্রথম দেশে এতজন মানুষ আক্রান্ত হলেন। একই সঙ্গে শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে ওমিক্রন (omicron) আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৩১ জন। শুক্রবারের তুলনায় শনিবার ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা আরও ১৬১ জন বেড়েছে।
সংক্রমণ বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। নতুন বছরের প্রথম দিনেই অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ২৪ ঘন্টায় মৃতের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশের ৪৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে অবশ্য ৩৭৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ওমিক্রন আক্রান্তের নিরিখে এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রই এগিয়ে আছে। এই রাজ্যে ৪৫৪ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরেই আছে দিল্লি। রাজধানীতে ৩৫১ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যত আছে যথাক্রমে কেরল ও গুজরাত এই দুই রাজ্যে যথাক্রমে ১১৮ এবং ১১৪ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে গোটা দেশেই সুস্থ হওয়ার হার কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৯৮.৩২ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশের ২৩ টি রাজ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। দেশের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। দিল্লি ও মুম্বইয়ের মত বড় শহরে ইতিমধ্যেই করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। যা নিশ্চিতভাবেই সরকারকে উদ্বেগে রেখেছে।