Omicron আতঙ্ক: দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ৫০০ জন নাগরিকের কোন খোঁজ নেই

নিউজ ডেস্ক, মুম্বই: ওমিক্রনের (Omicron) আবহে আতঙ্ক আরব সাগর তীরে৷ গত ১৫ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা (south africa) থেকে মুম্বইয়ে বেড়াতে এসেছেন এক হাজারের মত পর্যটক। কিন্তু…

mumbai

নিউজ ডেস্ক, মুম্বই: ওমিক্রনের (Omicron) আবহে আতঙ্ক আরব সাগর তীরে৷ গত ১৫ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা (south africa) থেকে মুম্বইয়ে বেড়াতে এসেছেন এক হাজারের মত পর্যটক। কিন্তু বৃহনমুম্বই কর্পোরেশন (grater municipal corporation) মাত্র ৪৬৬ জন দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিকের খোঁজ পেয়েছে।

বাকিদের কোনও খোঁজ নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ওই ৪৬৬ জনের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১০০ জনের সোয়াব (soab test) পরীক্ষা হয়েছে। বাকি ৫০০-রও বেশি দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিককে খুঁজে বের করতে বৃহনমুম্বই কর্পোরেশন আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের (omicron)৷ সন্ধান মিলেছে। উদ্বেগজনক ভাইরাস ওমিক্রন ঠেকাতেই পুরসভার এই বাড়তি উদ্যোগ।

মঙ্গলবার বৃহনমুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের অতিরিক্ত কমিশনার সুরেশ কাকানি বলেছেন, মুম্বই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়েছেন গত ১৫ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১০০০ পর্যটক মুম্বই এসেছেন। যাদের মধ্যে ৪৬৬ জন পর্যটকের নাম ঠিকানা-সহ বিস্তারিত বিবরণ পুরসভাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে বাকিদের কোনও তথ্যই নেই। কাকানি আরও বলেছেন, ৪৬৬ জনের মধ্যে ১০০ জনের সোয়াব পরীক্ষা করা হয়েছে।

বুধবার সেই পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। ওই ফলাফল আসলেই বোঝা যাবে আর ওই পর্যটকদের মধ্যে কেউ করোনা পজিটিভ আছেন কিনা। পরীক্ষায় যদি কোনও করোনা পজিটিভ পর্যটকের খোঁজ মেলে তবে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার নিখোঁজ নাগরিকদের মধ্যে যদি কেউ করেনা পজিটিভ বিশেষ করে ওমিক্রন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে সেটা মুম্বই তথা দেশের পক্ষে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। স্বাভাবিকভাবেই মুম্বই পুরসভার উদ্বেগ বাড়িয়েছে নিখোঁজ থাকার ৫০০-রও বেশি দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিক। কারণ তাঁদের মধ্যে যদি কেউ ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে সহজেই সেটা এ দেশেও ছড়িয়ে পড়বে।

কাকানি আরও বলেছেন, আফ্রিকা থেকে আসা ওই সমস্ত পর্যটকের যদি কেউ করোনা পজিটিভ হয় তবে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য ইতিমধ্যেই সেভেন হিল হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই হাসপাতালের কোরেন্টাইন সেন্টারের পরিকাঠামো নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই সেখানে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হবে। আক্রান্তদের চিকিৎসা ও ২৪ ঘণ্টার নজরদারির জন্য থাকবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। আপাতত সেভেন হিল হাসপাতালে দুটি ওয়ার্ড চালু করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ওয়ার্ড সংখ্যা আরও বাড়ান হবে।