Assam: বৃদ্ধা মালতি সরকারের আতঙ্ক, ভারতীয়ত্ব প্রমাণের জোড়া নোটিশে বিপুল আর্থিক বোঝা

News Desk: ‘ডি” ভোটার, বিদেশি ন্যায়াধীকরণ, ডিটেনশন ক্যাম্পের নামে অসমের (Assam) বাঙালিদের হয়রানি করার কাহিনী আর নতুন হয়ে থাকেনি । ১৯৯৭ সাল থেকে ‘ডি’ ত্রাস…

Anti CAA aasam

News Desk: ‘ডি” ভোটার, বিদেশি ন্যায়াধীকরণ, ডিটেনশন ক্যাম্পের নামে অসমের (Assam) বাঙালিদের হয়রানি করার কাহিনী আর নতুন হয়ে থাকেনি । ১৯৯৭ সাল থেকে ‘ডি’ ত্রাস চলেছে। ভোট আসে ভোট যায় ,কিন্তু ‘ডি’-র তকমা সেঁটে দেওয়া বাঙালিদের বদলায় না ভাগ্য। এনআরসি তালিকায় দাগ পড়ে যাওয়া লক্ষ লক্ষ অসমবাসীর বেশিরভাগই হিন্দু-অভারতীয় বলে চিহ্নিত।

এই ইস্যু নিয়ে বহু অসমের বাঙালি নেতাা নিজের পলিটিক্যাল কেরিয়ার গড়েছেন। যদিও ভোটার পর সবই হিমঘরে চলে যায়। তবে রাজনৈতিক কারণেই বা প্রশাসনিক গাফিলতির শিকার হচ্ছেন বাঙালিরা। মাঝে মধ্যে এমন কিছু কর্মকান্ড সবাইকে বাকরুদ্ধ করে দেয়।

   

একই ব্যক্তির নামে দুটি ‘ডি’ নোটিশ। এমনটাই ঘটনা ঘটেছে বরপেটা জেলার বরপেটা রোড, কাটাঝার গ্রামের বাসিন্দা মালতী সরকারের সাথে। জানা গেছে, বরপেটা জেলার ৯ নং বিদেশি শনাক্তকরণ ট্রাইবুনাল ২৭২৯ /৯৭ নাম্বারের বিদেশি সংক্রান্তিও একটি মামলার ভিত্তিতে ২০২১ সালের ২০শে জানুয়ারী জারি করা হয়েছে নোটিশ। এই নোটিশে মালতির পিতা ও স্বামীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।

D-voter malati sarkar

মালতি দেবীর পরিবার জানায়, ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় নাগরিকত্বের যাচাই করতে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশ মেনেই তিনি বরপেটা জেলার ফরেনার্স ট্রাইবুন্যালে নিজের ভারতীয় নাগরিকত্বের পরীক্ষায় নির্ধারিত সময়ে হাজির হন।

এই মামলার চূড়ান্ত না হতেই ফের প্রয়াত রাধাকৃষ্ণ সরকারে কন্যা ও প্রয়াত পি সরকারের স্ত্রী মালতী সরকারের নামে ৩৬৬৯/০৯ নাম্বারের একটি মামলায় আরেকটি নোটিশ জারি করা হয়। মালতি দেবীর ছেলে আনন্দ সরকারের নতুন বাড়ি বঙ্গাইগাঁও জেলার অন্তর্গত মানিকপুর থানা এলাকায় আবারও একটি “ডি” নোটিশ গত ফেব্রুয়ারি ১৮ তারিখে জারি করা হয়। এতে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন বয়স্ক মহিলা ও তাঁর পরিবার।

উপায়ন্তর হয়ে আবারও আইনজীবীর সাহায্যে বঙ্গাইগাওঁ ১ নং বিদেশি ন্যায়াধীকরণে দৌড়ঝাঁপ আরম্ভ করেছেন ছেলে আনন্দ সরকার। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই বরপেটার কাটাঝারের বাড়ি থেকে চলতি মামলাতেই তাদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। মানসিক অশান্তিতে মায়ের শরীরের অবস্থা আজকাল ভালো যায়না। অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছেন মা। তবে বঙ্গাইগাওঁ ১নং এফ টি থেকে বলা হয়েছে , যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বরপেটা জেলার এফটিতে ভারতীয় নাগরিকত্বের তথ্য জমা দিয়ে এই মামলার নিস্পত্তি করতে হবে।

এই ঘটনায় সারা অসম বাঙালি ঐক্যমঞ্চের নজরে আসলে সাধারণ সম্পাদক অমৃতলাল দাস বলেন , বর্তমানের অসম সরকার বাঙালি জনসাধারণকে কেবলমাত্র ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে চাইলে সেই আত্মীয়তা আর বেশিদিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবেনা।

বাঙালি ঐক্যমঞ্চের দাবি, যদিও একথা আর নতুন করে বলার অবকাশ রাখেনা যে, অসমাবাসী বাঙালি হিন্দুর একছত্র ভোটারদের কারণেই আজ দিসপুরের (অসমের প্রশানিক কেন্দ্র) ক্ষমতায় বিজেপি সরকার। তবে আনন্দদের মত যুব সমাজকে এই সরকার যদি প্রতিবাদ করতে পথেই নামতে বাধ্য করে তাহলে সে দিন আর বেসিদিন লাগবেনা ক্ষমতাশীন দলের মুখ থেকে মুখোশ খুলে আসল জায়গায় বসিয়ে দেবেন তাঁরা।