১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের শেষে শ্রীঘরে জুবিনের দুই সঙ্গী

zubeen-garg-band-members-judicial-custody-investigation

গুয়াহাটি: আসামের কিংবদন্তি গায়ক জুবিন গর্গ-এর মৃত্যুকান্ডে তদন্ত চলাকালীন নতুন দিক খুলল। শুক্রবার, ১৪ দিনের পুলিশ রিম্যান্ড শেষে, গায়কের দুই ব্যান্ড সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী ও অমৃতপ্রভ মহান্তকে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দুই জন ৩ অক্টোবর গ্রেফতার হন এবং এরপর বিশেষ তদন্ত দল (SIT)–এর জিজ্ঞাসাবাদে ছিলেন।

Advertisements

তাঁদের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শুক্রবার শেষ হয় এবং তখনই আদালতে হাজির করা হয়। গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কামরূপ মুখ্য বিচারিক মেজিস্ট্রেট তাদের বিচারিক হেফাজতে রয়েই রাখার নির্দেশ দেন। আদালত প্রক্রিয়ায় তাদের পৃথক পুলিশ ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া ও মামলার দায়-সংক্রান্ত বিবরণ নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসররা সর্তক রয়েছেন। এ পর্যন্ত, SIT ১ অক্টোবর থেকে ক্রমান্বয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে এবং সকলকে বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

ধনতেরাসে কেন ঝাড়ু কেনা শুভ, জানুন এর তাৎপর্য

গর্গ সিঙ্গাপুরে গায়ন ইভেন্টে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। ১৯ সেপ্টেম্বর গায়ন অনুষ্ঠানের আগে তিনি সাঁতার কাটতে গিয়ে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।তবে, সিঙ্গাপুর পুলিশ তাদের প্রাথমিক তদন্তে গুন্তর না থাকতে পারে এমন সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছে। তারা বলেছে, “প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুসারে কাকতালীয় মৃত্যু সন্দেহ বেশি” এবং তদন্তের জন্য আরও সময় চায়।

Advertisements

জুবিন গর্গের মৃত্যুর পেছনে অনেক প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে— কীভাবে মৃত্যু হলো, সাঁতার কাটতে গিয়েই প্রকৃত কারণ কি, অথবা কোনো তৃতীয় পক্ষ জড়িত ছিল কি না? আদালতে আজ যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটি মামলার গতি ও অব্যাহত তদন্তের জন্য নতুন দিক দেখাতে পারে। এই ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে গায়কের অনুরাগীদের শোক এখনও কাটছে না।

তাঁকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বহু শ্রদ্ধা উঁচিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আবার একদিকে মামলার অগ্রগতি ও তদন্তের গোপন অংশ নিয়ে সংশয় ও গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়েছে। নির্ধারিত ফাঁসির বিপরীতে এখন মামলাটি ধরা পড়েছে এক সাধারণ মামলার দিকেও, যেখানে বিচারিক প্রক্রিয়া ও প্রমাণের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আবশ্যক হবে। বিচারিক হেফাজতে যাওয়ার এই সিদ্ধান্ত একটি বড় ধাপ— তবে দোষ প্রমাণে এখনও অনেক পথ বাকি।