কোকড়াঝাড়ে এনকাউন্টারে খতম রেললাইন ওড়ানো মাও নেতা

kokrajhar-maoist-leader-ipil-murmu-encounter-2025

কোকড়াঝাড়: উত্তর-পূর্ব ভারতের শান্তি প্রক্রিয়াকে নতুন করে চ্যালেঞ্জ করেছে একটি ভোরের এনকাউন্টার। কোকড়াঝাড় জেলার নন্দনগিরি-সালাকাটি এলাকায় শনিবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মাওবাদী নেতা ইপিল মুর্মু ওরফে রোহিত মুর্মু (৪০) নিহত হয়েছে। তিনি ২৩ অক্টোবর কোকড়াঝাড়ের রেলপথে আইইডি বিস্ফোরণের প্রধান আসামি।

Advertisements

এই ঘটনায় অস্ত্র এবং বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে, যা পুলিশকে নতুন সূত্র দিয়েছে মাওবাদী নেটওয়ার্ক ভাঙতে। কোকড়াঝাড়ের এসপি পুষ্পরাজ সিং বলেছেন, “এটি একটি বড় সাফল্য। মুর্মু ছিল মাওবাদীদের হেভিওয়েট নেতা, যিনি অসমে নতুন নেটওয়ার্ক গড়ার চেষ্টা করছিলেন।” এই এনকাউন্টার স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তির সঙ্গে ভয়ের মিশ্র অনুভূতি জাগিয়েছে, কারণ মাওবাদীদের উত্থান আবারও অসমের শান্তিকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

ঘটনার সূত্রপাত ২৩ অক্টোবর রাত ১টায়। কোকড়াঝাড়-সালাকাটি রেলপথে একটি গুডস ট্রেন (ইউপি আজারা সুগার) চলাকালীন হঠাৎ একটি তীব্র ধাক্কা লাগে। ট্রেন ম্যানেজারের সতর্কতায় ট্রেন থামানো হয়, এবং পরীক্ষায় দেখা যায়, রেলপথে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটেছে। সৌভাগ্যবশত, কোনো প্রাণহানি হয়নি, কিন্তু এই বিস্ফোরণ লোয়ার অসম এবং উত্তরবঙ্গের রেলসেবা ব্যাহত করে।

নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের চিফ পাবলিক রিলেশন্স অফিসার বলেছেন, “এটি একটি ইচ্ছাকৃত জঙ্গি হামলা, যা বড় দুর্ঘটনার ষড়যন্ত্র ছিল।” তদন্তে পুলিশের গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা যায়, এই হামলার পেছনে মাওবাদী গ্রুপের হাত, এবং প্রধান পরিকল্পনাকারী ইপিল মুর্মু। তিনি ঝাড়খন্ড থেকে অসমে পালিয়ে এসে কোকড়াঝাড়ের কাচুগাঁও গ্রামপুরে লুকিয়ে ছিলেন, নাম পরিবর্তন করে স্থানীয় হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।

ইপিল মুর্মুর পটভূমি অন্ধকারময়। ২০১৩ সালে তিনি কোকড়াঝাড়ের নিজ বাড়ি ছেড়ে ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী গ্রুপে যোগ দেন। সেখানে তিনি ‘রোহিত মুর্মু’ নামে পরিচিত ছিলেন। গত অক্টোবরে জারখণ্ডের রেলপথে একটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তিনি অসমে পালান।

ঘুরছে মাথা, জ্বলছে চোখ! দীপাবলির পরে দিল্লিতে দুর্ভোগ!

অসমে তিনি ‘ইপিল মুর্মু’ নাম ব্যবহার করতেন এবং কাচুগাঁও গ্রামপুরের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিতেন। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ২০১৫ সাল থেকে ঝাড়খণ্ডে একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত, যার মধ্যে রেলপথ বিস্ফোরণ এবং সশস্ত্র হামলা অন্তর্ভুক্ত।

Advertisements

কোকড়াঝাড়ে এসে তিনি মাওবাদী নেটওয়ার্ক গড়ার চেষ্টা করছিলেন, যাতে রেল পরিকাঠামো ধ্বংস করে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটানো যায়। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গতকাল বলেছেন, “মুর্মু অসমে মাওবাদীদের নতুন শাখা গড়তে এসেছিল। এই এনকাউন্টার তার চক্রের অবসান ঘটিয়েছে।” ঝাড়খন্ড পুলিশের একটি দলও অসমে এসে তাকে খুঁজছিল।

শনিবার ভোরে নন্দনগিরি এলাকায় পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কোকড়াঝাড় পুলিশ এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স মুর্মুর লুকানোর জায়গায় ঢোকে। পুলিশের দাবি, মুর্মু এবং তার সঙ্গীরা প্রথমে গুলি চালায়, যাতে আত্মরক্ষায় পুলিশ পাল্টা গুলি করে।

এই লড়াইয়ে মুর্মু গুরুতর আহত হন এবং পরে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে মৃত ঘোষিত হন। স্থান থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল, দুটি হ্যান্ড গ্রেনেড, দুটি পরিচয়পত্র (একটিতে ইপিল মুর্মু, কাচুগাঁও, এবং অন্যটিতে রোহিত মুর্মু, জারখণ্ড), এবং বিস্ফোরক উপাদান।

এসপি সিং বলেছেন, “এনকাউন্টারের সময় স্থানে প্রায় ১০ জন মাওবাদী উপস্থিত ছিল। আমরা তাদের সঙ্গীদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।” কোনো পুলিশ সদস্য আহত হননি, কিন্তু এই অভিযান অসম-ঝাড়খন্ড সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। শনিবার ভোরে নন্দনগিরি এলাকায় পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু হয়।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কোকরাঝার পুলিশ এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স মুর্মুর লুকানোর জায়গায় ঢোকে। পুলিশের দাবি, মুর্মু এবং তার সঙ্গীরা প্রথমে গুলি চালায়, যাতে আত্মরক্ষায় পুলিশ পাল্টা গুলি করে। এই লড়াইয়ে মুর্মু গুরুতর আহত হন এবং পরে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে মৃত ঘোষিত হন।

স্থান থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল, দুটি হ্যান্ড গ্রেনেড, দুটি পরিচয়পত্র (একটিতে ইপিল মুর্মু, কাচুগাঁও, এবং অন্যটিতে রোহিত মুর্মু, জারখণ্ড), এবং বিস্ফোরক উপাদান। এসপি সিং বলেছেন, “এনকাউন্টারের সময় স্থানে প্রায় ১০ জন মাওবাদী উপস্থিত ছিল। আমরা তাদের সঙ্গীদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।” কোনো পুলিশ সদস্য আহত হননি, কিন্তু এই অভিযান অসম-ঝাড়খন্ড সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে।