লখিমপুরের ঘটনায় জড়িতরা কেউ পার পাবে না, সাফ জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

News Desk, New Delhi: এ যেন ভূতের মুখে রাম নাম! উত্তরপ্রদেশের সন্ন্যাসী রাজা যোগী আদিত্যনাথ একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে রবিবার বললেন, লখিমপুর খেরির ঘটনা…

Yogi Adityanath

News Desk, New Delhi: এ যেন ভূতের মুখে রাম নাম! উত্তরপ্রদেশের সন্ন্যাসী রাজা যোগী আদিত্যনাথ একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে রবিবার বললেন, লখিমপুর খেরির ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এখানেই শেষ নয় যোগী আরও বলেন এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে তাঁর সরকার।

রবিবার একটি জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যম আয়োজিত আলোচনা চক্রে বক্তব্য রাখছিলেন যোগী। সেখানেই যোগী বলেন, লখিমপুরের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনা আমাদের মাথা হেঁট করে দিয়েছে। তবে চিন্তার কিছু নেই, সিট এই ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা সিটের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছি। এই রিপোর্ট পেলেই ঘটনায় জড়িতদের নাম জানা যাবে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধীরা কেউ পার পাবে না।

এর পাশাপাশি সকলকে চমকে দিয়ে যোগী এদিন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের কাজ হল প্রকৃত সত্যকে তুলে ধরা। লখিমপুরের ঘটনায় সংবাদমাধ্যম সেই ভূমিকাই পালন করেছে। আমার সরকারের কাজ হল, এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন, আমি এই ঘটনায় জড়িতদের কাউকেই ছেড়ে কথা বলবো না।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা ভেবেই ডিগবাজি খেয়েছেন যোগী। কারণ তিনি বেশ বুঝতে পেরেছেন, এমনিতেই তিন কৃষি বিল নিয়ে তাঁরা যথেষ্ট ব্যাকফুটে। পাশাপাশি লখিমপুরে গাড়ি চাপা দিয়ে চার কৃষককে খুনের ঘটনায় বিজেপি সরকারের উপর প্রবল ক্ষুব্ধ রাজ্যের মানুষ। ভোট বাক্সে যার প্রতিফলন ঘটলে যোগী নিশ্চিতভাবেই তাঁর চেয়ার হারাবেন। বিজেপি যদি কোনভাবে উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতার থেকে সরে যায় তাহলে ২০২৪- এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় ফেরা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সে কারণেই তড়িঘড়ি লখিমপুর নিয়ে সাফাই দিলেন যোগী।

যোগীর বক্তব্যে রাম মন্দির নির্মাণের প্রসঙ্গ আসবে না এটা ভাবা যায় না। এদিনও যোগী রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন কিছু মানুষ আছে যারা রাম মন্দির নির্মাণের বিরোধিতা করছে। নিশ্চিতভাবেই এই সব মানুষের জন্য দুর্ভাগ্য অপেক্ষা করে আছে। তাদের বোঝা উচিত, এই মন্দির একদিন উত্তরপ্রদেশের গর্ব হয়ে দাঁড়াবে। কোনও মানুষই চিরকাল থাকবে না। কিন্তু কিছু মানুষের তৈরি এই মন্দির থেকে যাবে। এই মন্দিরে হবে উত্তর প্রদেশের এক অন্যতম পরিচয়।