Tiger abhi zinda hai: ৭৪ বছরেও নীতীশের দাপট! প্রাথমিক ট্রেন্ডে স্পষ্ট প্রত্যাবর্তন

Nitish Kumar Bihar Election Resurgence

পাটনা: বিহারের ভোটগণনার আগের দিন, রাজ্যজুড়ে আচমকাই দেখা গেল পোস্টার–ব্যানার— “Tiger abhi zinda hai”। সেই পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ছবি। ৭৪ বছরের ‘সুশাসন বাবু’-কে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষমতা নিয়ে নানা রাজনৈতিক জল্পনা চললেও, গণনার শুরুর দিকের প্রবণতা জানাচ্ছে— নীতীশ এখনও সক্রিয়, এখনও যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক, এবং রাজনীতিতে তাঁর ‘বাইট’ অটুট।

Advertisements

শুক্রবার সকালে গণনা শুরু হতেই দেখা যায়, নীতীশের জেডিইউ ১০১টি আসনের মধ্যে ৭৫টিতে এগিয়ে, যা এনডিএকে পরিষ্কারভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে নিয়ে যাচ্ছে। যাঁকে অনেকেই রাজনৈতিকভাবে প্রায় ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে ধরে নিয়েছিলেন, সেই নীতীশ কুমারই প্রাথমিক ফলাফলে এনডিএকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মূল শক্তি হিসেবে উঠে এসেছেন।

   

২০ বছরের শাসনের ক্লান্তি কাটিয়ে জেডিইউ-র প্রত্যাবর্তন

যদি এই প্রবণতাই শেষ পর্যন্ত বহাল থাকে, তবে এটি হবে প্রায় দুটি দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা জেডিইউ-র জন্য নাটকীয় প্রত্যাবর্তন। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যেখানে জেডিইউ-র আসন কমে দাঁড়িয়েছিল ৪৩, সেখানে এবার তারা প্রায় ৩০টি আসন বাড়িয়ে শক্তিধর অবস্থান তৈরি করছে।

শাসন-বিরোধী হাওয়া, দীর্ঘদিনের ক্ষমতা–ক্লান্তি এবং সংগঠনের দুর্বলতা—সবকিছুর মাঝেও নীতীশের দল যে এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তা নির্বাচনের অন্যতম বড় চমক।

বড় লড়াই: এনডিএ বনাম মহাগঠবন্ধন নয়, বিজেপি বনাম জেডিইউ-র ‘বিগ ব্রাদার’ তকমা

এই নির্বাচনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকাহিনি—
এনডিএ জোটের মধ্যে বিজেপি ও জেডিইউ-র ‘বিগ ব্রাদার’ হওয়া নিয়ে লড়াই।

২০২০ সালে প্রথমবারের মতো বিজেপি জেডিইউ-কে ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

Advertisements

২০২০-তে: Nitish Kumar Bihar Election Resurgence

জেডিইউ লড়েছিল ১১৫ আসনে, জিতেছিল ৪৩

বিজেপি লড়েছিল ১১০ আসনে, জিতেছিল ৭৪

এবার সমান আসন বণ্টন হলেও, ভোটবাক্সের ইঙ্গিত বলছে, জেডিইউ আবারও শক্ত অবস্থানে ফিরছে, আর বিজেপি পিছনে রয়েছে কয়েক ধাপ।

চূড়ান্ত ফলাফলে কার পারফরম্যান্স কেমন দাঁড়ায়, সেটাই ঠিক করবে, এনডিএ-তে কে হবে ‘বিগ ব্রাদার’? নীতীশের জেডিইউ, না মোদী–শাহের বিজেপি?

নীতীশের বার্তা স্পষ্ট: ‘টাইগার’ এখনও খেলায়

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘Tiger abhi zinda hai’ পোস্টার শুধু প্রচারণা নয়, বরং জেডিইউ-র অভ্যন্তরীণ মনোবল এবং নীতীশের পুনরুত্থানের প্রতীক।

বছরের পর বছর ধরে যাকে শাসনের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়েছে, সেই নীতীশ কুমার বয়স, স্বাস্থ্য এবং রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অভিযোগ কাটিয়ে এই নির্বাচনে যে নিজের অস্তিত্ব নতুন করে প্রতিষ্ঠা করছেন, তা স্পষ্ট।