জঙ্গি-গোষ্ঠী আইএসআইএস-কে (ISIS) ফান্ড দেওয়ার অভিযোগে খোঁজ চলছে উত্তর রেলওয়েতে নিযুক্ত এক ক্লার্কের। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) চালাচ্ছে এই সার্চ মিশন। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল সম্প্রতি হাই-প্রোফাইল জঙ্গি মহম্মদ শাহনওয়াজ সহ তিনজন আইএসআইএস অপারেটরকে গ্রেফতার করে। এই জঙ্গিকে ধরিয়ে দেওয়ার মূল্য ছিল ৫ লক্ষ। এরপরই প্রকাশ্যে আসে রেলওয়ে ক্লার্কের জঙ্গি-যোগের ঘটনা। এরপরই শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
ধৃত জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এর ক্লার্কের সম্পর্কে তথ্য বেরিয়ে আসে। আজ তক/ইন্ডিয়া টুডে তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত কেরানি নয়ডার বাসিন্দা এবং উত্তর রেলওয়ের আর্থিক বিভাগে কর্মরত ছিল। ইসলাম গ্রহণের আগে অভিযুক্ত মূলত হিন্দু ছিল।
জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ক্লার্ক রেলের কাছে একাধিক প্রতারণামূলক চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিল/ তথ্য জমা দিয়ে যে টাকা পেয়েছিল তা দিয়ে আইএসআইএসের কার্যকলাপে সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ। রেলওয়ে দিল্লির একটি থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদের সাথে তার সম্ভাব্য যোগসূত্র প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই এনআইএ তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে এবং কেরানিকে খুঁজছে। জানা যাচ্ছে সেই কেরানি পলাতক। তার খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান।
এই ঘটনার ফলে চলতে থাকা পুনে আইএসআইএস মডিউল সংক্রান্ত তদন্তের জটিলতার আরেকটি স্তর বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। পুনে আইএসআইএস মডিউলের হদিশ মেলে ২০২২ সালে। ওয়ান্টেড জঙ্গি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ এই আইএসআইএস স্লিপার সেলের অংশ ছিল।
২০২২ সালের অক্টোবরে, মহারাষ্ট্র জঙ্গিবিরোধী স্কোয়াড (ATS), ISIS-এর ব্যানারে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করার অভিযোগে পুনে এবং সাতারা থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল। হিন্দু ও মুসলিম সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত এই দলটির কাছে বিস্ফোরক সামগ্রী ছিল। তদন্তে উঠে আসে পুলিশ স্টেশন এবং ধর্মীয় স্থানগুলি সহ পুনেতে জনাকীর্ণ স্থানগুলিকে টার্গেট করার তাদের পরিকল্পনা।