Delhi: নবজাতকের মৃতদেহ ট্রেনের কাপলারে, তদন্তে নেমে হতবাক পুলিশ

নতুন দিল্লি রেলওয়ে (Delhi Railway) স্টেশনের কাছে সোমবার একটি নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির দেহ দুটি ট্রেনের কোচের মাঝে কাপলারের ওপর পড়ে…

newborn-dead-on-train-coupler-delhi-railway-station-police

short-samachar

নতুন দিল্লি রেলওয়ে (Delhi Railway) স্টেশনের কাছে সোমবার একটি নবজাতকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির দেহ দুটি ট্রেনের কোচের মাঝে কাপলারের ওপর পড়ে ছিল। শিশুটির দেহে রক্ত লেগে থাকলেও কোনো বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, জন্মের পরপরই শিশুটিকে এখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

   

একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানান, রাজধানী কমপ্লেক্সের কাছে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের কাপলারে মৃতদেহটি আবিষ্কৃত হয়। কাপলার হলো লোহার তৈরি একটি কাঠামো, যা ট্রেনের কোচগুলোকে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত রাখে। এই ভয়াবহ দৃশ্য প্রথম দেখতে পায় রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (RPF )। তাঁরা পুলিশকে খবর দিলে তৎক্ষণাৎ একটি দল ঘটনাস্থলে আসে।

মৃতদেহটিকে প্রথমে কালাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা শিশুটিকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত করতে এবং মৃত্যুর কারণ জানতে মৃতদেহটি এলএইচএমসি (LHMC) মর্গে পাঠানো হয়। পোস্টমর্টম রিপোর্টের জন্য পুলিশ অপেক্ষা করছে, যা এই ঘটনার আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে পারে।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শিশুটির পিতামাতা তাদের পরিচয় গোপন করার উদ্দেশ্যেই তাঁকে এভাবে পরিত্যাগ করেছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্রাইম টিম তদন্ত শুরু করে। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের একটি দল এখন সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে, যাতে অপরাধীদের চিহ্নিত করা যায়।

একজন পুলিশ অফিসার জানান, “আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছি এবং প্রমাণ সংগ্রহের মাধ্যমে দায়ীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এটি একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ঘটনা, এবং আমরা এর পেছনের সত্য উদঘাটনে বদ্ধপরিকর।” তবে এখনও পর্যন্ত শিশুটির পরিচয় বা তার পরিবারের কোনো সন্ধান মেলেনি।

এই ঘটনা শুধু রেলস্টেশনের আশপাশের মানুষের মধ্যেই নয়, পুরো এলাকায় গভীর শোক ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। নবজাতকের এমন নির্মম পরিণতি মানুষের মনে প্রশ্ন তুলেছে—কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল? পিতামাতা কি সামাজিক চাপে এই কাজ করেছেন, নাকি অন্য কোনো গোপন রহস্য রয়েছে এর পেছনে?

স্থানীয়রা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনা সমাজে নবজাতকদের প্রতি দায়িত্ব ও সুরক্ষার প্রশ্নকে আরও জোরালো করে তুলেছে।