নয়াদিল্লি: বিশ্ব-খ্যাত সমাজ ও জলবায়ু কর্মী সোনম ওয়াংচুকের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগাযোগের ইঙ্গিত দিয়েছিল সিবিআই। তাঁর এনজিও Himalayan Institute of Alternatives Ladakh (HIAL)-এর বিদেশী অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গের অভিযোগে লাইসেন্সও বাতিল করে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে এবছর ফেব্রুয়ারিতে ওয়াংচুকের পাকিস্তান-যাত্রার বিষয়টিও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলা হয়।
এই নিরিখে শনিবার লাদাখের ডিজিপি এস ডি জামওয়াল শনিবার ফের সোনমের বাংলাদেশ, পাকিস্তান ভ্রমণ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। সেইসঙ্গে ঘটনাপ্রসঙ্গে একজন পাকিস্তানি পিআইও-কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান ডিজিপি। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের ডন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন ওয়াংচুক। বাংলাদেশেও গিয়েছিলেন তিনি। তাই ওনাকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।”
আন্দোলনের আগুনে ঘৃতাহুতির অভিযোগ কেন্দ্রের
বুধবার লাদাখের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার জন্য সোনমকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করায় কেন্দ্র। ওয়াংচুকের “উস্কানিমূলক মন্তব্য’-এর জন্যই লাদাখের যুব সমাজ বিক্ষোভ শুরু করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, “এটা সকলেই জানে যে ভারত সরকার লেহ অ্যাপেক্স বডি এবং কার্গিল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি (HPC) এবং উপ-কমিটির সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করা হয়েছে। তাঁদের নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে। তবে, কিছু রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যক্তি HPC-এর অধীনে অগ্রগতিতে খুশি ছিলেন না এবং সংলাপ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছেন।”
সোনমের পাশে বিরোধীরা
সোনমের উপর একের পর এক অভিযোগ এনে তাঁর গ্রেফতারির ইঙ্গিত আগে থেকেই দিচ্ছিল কেন্দ্র সরকার বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ শুক্রবার বলেন, “এর আভাস আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা”। পাশাপাশি, সোনমের গ্রেফতারিকে কেন্দ্রের “একনায়কতান্ত্রিক” মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেন কেজরিওয়াল সহ বামপন্থীরাও।