Netaji is alive or dead: নেতাজী জীবিত না মৃত, ৮ সপ্তাহের মধ্যে জানাতে কেন্দ্রকে নির্দেশ হাইকোর্টের

News Desk: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose) জীবিত আছেন নাকি, তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা ৮ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রকে জানানোর নির্দেশ দিল…

Netaji is alive or dead

News Desk: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose) জীবিত আছেন নাকি, তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা ৮ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রকে জানানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ জারি করে।

নেতাজী জীবিত আছেন নাকি তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা জানতে চেয়ে আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বেঞ্চ তার নির্দেশে দেশে ব্যবহৃত টাকায় নেতাজির ছবি ব্যবহার করা যাবে কিনা তাও হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রকে জানাতে বলেছে।

সোমবার আবেদনকারীর আইনজীবী রবীন্দ্রনারায়ণ দত্ত আদালতে বলেন, নেতাজীর অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান করতে কেন্দ্র বিভিন্ন সময়ে একাধিক কমিশন গঠন করেছে। ওই কমিশনের জন্য সরকারের বিপুল অর্থ খরচ হয়েছে। কিন্তু এখনও প্রকৃত সত্য সামনে আসেনি। অযথা সরকারি অর্থের অপচয় না করে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্যের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করুক কেন্দ্রীয় সরকার। আদালত এ বিষয়ে নির্দেশ জারি করুক বলে আইনজীবী রবীন্দ্রনারায়ণ দত্ত দাবি করেন।

আইনজীবী দত্ত বলেন, নেতাজী দেশের জন্য যা করেছেন তা মানুষ কোনওদিন ভুলবে না। তাই ভারতীয় মুদ্রায় নেতাজির ছবি ছাপানোর জন্য ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবে উৎসাহ দেখিয়েছে আরবিআই। কিন্তু এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। সেই তথ্যও আদালতকে জানাক সরকার।

আবেদনকারীর আইনজীবীর এই বক্তব্যের পর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নেতাজীর অন্তর্ধানের বিষয়ে সরকার তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করুক। একইসঙ্গে নেতাজির ছবি দেশের টাকায় ছাপা হবে কিনা তাও জানানোর জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ।

আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রকে হলফনামা দিয়ে এই দুই প্রশ্নের উত্তর জানাতে হবে হাইকোর্টকে। উল্লেখ্য, নেতাজীর অন্তর্ধানের বিষয়ে সাম্প্রতিক কিছু ফাইল প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর বেঁচে থাকা বা মৃত্যু হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনও ফাইল প্রকাশ করা হয়নি।

১৯৪৫ সালে তাইহোকু বিমান বন্দরে দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যু হয়েছিল কিনা সে ব্যাপারে অসংখ্য প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। সেই জট এখনও কাটানো যায়নি। এরইমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।