NEET: পরীক্ষা জালিয়াতি কাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে গ্রেফতার সাংবাদিক

নিট জালিয়াতি মামলায় এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন এক সাংবাদিক। ঝাড়খন্ডের হাজারবাগ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই সাংবাদিকের…

নিট জালিয়াতি মামলায় এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন এক সাংবাদিক। ঝাড়খন্ডের হাজারবাগ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই সাংবাদিকের নাম জামালউদ্দিন। একটি হিন্দি দৈনিকে কাজ করতেন তিনি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগের একটি বেসরকারি স্কুল থেকে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় যে দুই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই সাংবাদিকের। তিনি দীর্ঘদিন ধরে একটি হিন্দি কাগজে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতেন।

শুক্রবারই হাজারিবাগের ওই বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল এশানুল হক, তাঁর সহযোগী ইমতিয়াজ আলম সহ আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, নিট পরীক্ষার জন্য ঝাড়খন্ডের হাজারিবাগ জেলার ‘ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর’ ছিলেন এশানুল। ইমতিয়াজ ছিলেন এনটিএ’র পর্যবেক্ষক। এমানুলের পরিচালিত এই স্কুল থেকেই নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের জেরায় এমানুল নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। অন্যদিকে, পাটনা থেকে গ্রেফতার হওয়া ১৩ জনকে জেরা করছে সিবিআই। তাঁদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আগামীদিনে তদন্তের জাল কোনদিকে বিছানো হবে সেই পরিকল্পনাও ছকছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। বিহার, ঝাড়খণ্ড ছাড়াও গুজরাতে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। সূত্রের খবর, গোধরা, খেড়া, আনন্দ এবং আমদাবাদ-সহ গুজরাতের সাত জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

   

নিট পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে এফআইআর দায়ের করে সারা দেশে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। বিহার থেকে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজস্থান, সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে নিট কেলেঙ্কারির জাল। ইতিমধ্যে পরীক্ষা দুর্নীতির তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক নাম। তবে এই জাল কতদূর বিস্তৃত তা জানতে তদন্তে গতি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেই নিট-নেট দুর্নীতিতে বেকায়দায় মোদী সরকার। মসনদে বসার সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই পরীক্ষা জালিয়াতিকাণ্ডে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সংসদ অধিবেশন শুরুর আগেই বিষয়টি নিয়ে মোদী সরকারকে চেপে ধরতে জোরকদমে কোমর বাঁধছে বিরোধী শিবির।