মদ্যপ ভাইপোকে ছাড়াতে থানায় ধরনায় বসলেন বিধায়ক পিসি

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল এক যুবক। পুলিশ ওই যুবককে ধরে এনেছিল থানায়। ওই যুবক ছিল রাজস্থানের কংগ্রেস…

Rajasthan Congress MLA

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল এক যুবক। পুলিশ ওই যুবককে ধরে এনেছিল থানায়। ওই যুবক ছিল রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়ক মীনা কানোয়ারের ভাইপো। থানার পুলিশ অফিসারকে ওই যুবক নিজের বিধায়ক পিসির কথা জানিয়েছিল।

তবুও তাকে থানা থেকে ছাড়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত ভাইপোকে আটকে রাখার খবর পৌঁছয় পিসির কানে। সঙ্গে সঙ্গেই যোধপুরের রাতানাডা থানায় ছুটে আসেন পিসি মীনা। ভাইপোকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তিনি দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ অফিসারকে অনুরোধ করেন। কিন্তু স্টেশন হাউস অফিসার ওই যুবককে ছাড়তে রাজি না হলে তিনি ওই পুলিশ অফিসারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এমনকী, ভাইপোকে ছাড়াতে শেষ পর্যন্ত তিনি স্বামী তথা প্রাক্তন বিধায়ক উমদেও সিংকে নিয়ে থানার মেঝেতেই ধরনায় বসে। কীর্তিমান পিসির এই কর্মকাণ্ডের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।

   

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, পিসি এসএইচওকে বলছেন, বাচ্চারা তো একটু-আধটু মদ খেতেই পারে। তা বলে তাদের থানায় আটকে রাখতে হবে। বিধায়ক মীনা একাধিকবার ভাইপোকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য এসএইচওকে অনুরোধ করেন। যদিও এসএইচও সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেননি। একসময় এসএইচওর সঙ্গে প্রবল বাকবিতণ্ডা হয় বিধায়কের। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ না হওয়ায় প্রবল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিধায়ক। এরপর স্বামীকে নিয়ে থানার মেঝেতেই ধরনায় বসে পড়েন তিনি।

থানার মেঝেতে বসেই হুমকি দেন, আমি আপনাকে অনুরোধ করেছি আমার ভাইপোকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। ফোনে আমি পুরো বক্তব্য রেকর্ড করে রেখেছি। আপনি যদি আমার কথা না শোনেন তাহলে আপনার পরিণতি কী হবে তা ভেবে দেখুন। আপনি বোধহয় জানেন, গতকালই এই থানার কয়েকজন অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এবার আপনার কি হয় দেখুন। বাচ্চারা সকলেই একটু-আধটু মদ খেয়ে থাকতে পারে। তার জন্য এত কড়াকড়ির কি আছে।

শুধু ভাইপোকে নয় পুলিশ আটক করেছিল তার গাড়িও। বিধায়ক অবশ্য শেষ পর্যন্ত এই গাড়িটি ছাড়িয়ে নিয়ে যান। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি গত রবিবারের হলেও মঙ্গলবার দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। ভিডিওটি সামনে আসতেই নেটিজেনরা বিধায়কের তীব্র সমালোচনা করেছেন। একজন জনপ্রতিনিধি কিভাবে থানায় ঢুকে এ ধরনের আচরণ করতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সকলেই।