Manipur: সেনা কনভয়ে হামলায় বিশেষ প্রশিক্ষণ হয় উত্তর মায়ানমারে

বিশেষ প্রতিবেদন: ২০১৫ সালের মতো ভয়াবহ হামলা ২০২১ সালে। সেবার ৪ জুন ছিল রক্তাক্ত। এবার ১৩ নভেম্বর। সেবার মনিপুরের চান্দেল জেলায় সেনা কনভয়ে হামলা চালায়…

khplang

বিশেষ প্রতিবেদন: ২০১৫ সালের মতো ভয়াবহ হামলা ২০২১ সালে। সেবার ৪ জুন ছিল রক্তাক্ত। এবার ১৩ নভেম্বর। সেবার মনিপুরের চান্দেল জেলায় সেনা কনভয়ে হামলা চালায় উত্তর পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির যৌথ সংগঠন UNLFW (United National Liberation Front of Western South East Asia)। মৃত্যু হয় ১৮ জওয়ানের। এবার হামলা হয়েছে চূড়াচন্দ্রপুরে। মৃত অসম রাইফেলসের কম্যান্ডিং অফিসার তাঁর স্ত্রী পুত্র ও জওয়ান সহ মোট ৫ জন।

এবারের হামলাকারী কারা ? সন্দেহের আঙুল অবশ্যই নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠীর দিকে। তবে সন্দেহের তালিকায় থাকছে পিপলস লিবারেশন আর্মি মনিপুর গোষ্ঠী (পিএলএ মনিপুর) তবে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হামলা চালাক, তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ভারতের সেনাবাহিনী। উত্তর পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলি পৃথক স্বশাসিত এলাকার দাবিতে হামলা চালায়। এবারের হামলার কারণও সেই রোষ। এই হামলার পরিকল্পনা সংগঠিত হয় মায়ানমারের উত্তর অংশের কাচিন প্রদেশে। এখানেই ভারত বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির ঘাঁটি।

Ne-militants-training-base

গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মায়ানমারে সেনা শাসন চলছে। এই দুটি প্রদেশের সরকার সেনা শাসনের বিরোধী। তাদের গণ মিলিশিয়া বনাম বর্মী সেনার সংঘর্ষের রক্তাক্ত পরিস্থিতির মাঝে গোয়েন্দা বিভাগ আশা করেছিল আপাতত হামলা বন্ধ হবে। তবে সেটি হলনা।

সূত্রের খবর, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা দিল্লিতে গিয়ে উত্তর পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিকে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর লক্ষ্য দুটি প্রধান বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী অসমের আলফা (স্বাধীনতা) ও নাগাল্যান্ডের এনসিএন (খাপলাং) কে আলোচনায় টেনে আনা।

এই দুটি সংগঠনের পর বোড়ো ও বাকি সংগঠনগুলির নাম আসে। তবে নাশকতার নিরিখে বাকিরাও কম যায় না। যেমন পিএলএ মনিপুর। ১৯৭৮ সাল থেকে এরা পৃথক সরকারের জন্য সংঘর্ষের পথ নিয়েছে।

উত্তর পূর্বের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলির বৈশিষ্ট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে তারা আগ্রাসী ভূমিকা নেয়। পিএলএ সেই কারণেই রক্তাক্ত করল মনিপুরকে বলে মনে করা হচ্ছে।

মায়ানমারের বেস ক্যাম্প থেকে ভারত সীমান্ত পার করা স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির কাছে ‘জলভাত’। বারবার হামলার পরে এমনটা প্রমানিত। অভিযোগ, সীমান্ত সুরক্ষার নামে বহু গালভরা শব্দ শোনানো হচ্ছে সরকারের তরফে। তবে বাস্তবে, ভৌগোলিক কারণ, দুর্গমতা সবমিলে মায়ানমারের সঙ্গে ভারত সীমান্তের সব এলাকা সুরক্ষিত নয় তা স্পষ্ট।

<

p style=”text-align: justify;”>সেই কারণেই মায়ানমার থেকে অরুণাচল প্রদেশ নাগাল্যান্ড, মনিপুর বা মিজেরামে ঢুকে পড়ে সেদেশে ট্রেনিং নেওয়া ভারত সরকার বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি।