Navratri: গরবায় প্রবেশাধিকার “শুধুমাত্র হিন্দুদের”! আধার কার্ড দেখানো বাধ্যতামূলক!

মুম্বই: আর দু’দিন পরেই শুরু হবে নবরাত্রি (Navratri)। তার আগেই নির্দেশিকা জারি করে বিতর্কের ঝড় তুললো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। মহারাষ্ট্রের গরবা অনুষ্ঠানে কেবলমাত্র হিন্দুরাই পাবেন…

মুম্বই: আর দু’দিন পরেই শুরু হবে নবরাত্রি (Navratri)। তার আগেই নির্দেশিকা জারি করে বিতর্কের ঝড় তুললো বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। মহারাষ্ট্রের গরবা অনুষ্ঠানে কেবলমাত্র হিন্দুরাই পাবেন প্রবেশাধিকার। নাম যাচাইের জন্য দেখাতে হবে আধার কার্ড! তিলক লাগিয়ে গরবা অনুষ্ঠানে প্রবেশ করানো হবে শুধুমাত্র হিন্দুদের। এই নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেস। হিন্দু পরিষদের এই নির্দেশিকা “সমাজে আগুন লাগিয়ে দেবে” বলে মন্তব্য করেন কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার।

যদিও, বিরোধীদের এই কটাক্ষকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখ্র বলেন, “অনুষ্ঠানে প্রবেশ নিয়ে আয়োজকদের যেকোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা জারি করার অধিকার আছে”। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের তরফে দাবি করা হয়, “গরবা কেবমাত্র একটি নৃত্যানুষ্ঠান নয়, বরং অম্বে মায়ের উদ্দেশ্যে আরাধনার একটি মাধ্যম।”

   

মূলত মুসলিম সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র শ্রীরাজ নায়ার বলেন, “ওনারা তো মূর্তিপুজোয় বিশ্বাসী নন। কেবলমাত্র যাঁদের শ্রদ্ধা এবং পুজোর আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে ধারণা রয়েছে, গরবা অনুষ্ঠানে কেবলমাত্র তাঁদেরকেই প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে”। তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের কর্মীরা অনুষ্ঠানের উপর কড়া নজর রাখবেন। গরবা দেবী-আরাধনার একটি অঙ্গ। কোনও আনন্দানুষ্ঠান নয়। যাঁদের আরাধ্যা দেবীর উপর আস্থা নেই, ভক্তি নেই তাঁরা এই অনুষ্ঠানে আসতে পারবেন না”।

Advertisements

তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক

হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের এই নির্দেশিকাকে সমর্থন করেছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপির বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে সহ বিজেপির মিডিয়া প্রধান নবনাথ বাণ। সেইসঙ্গে বিরোধিতা করায় উদ্ভবের শিবসেনা সঞ্জয় রাউতকেও একহাত নিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, কংগ্রেস এই নির্দেশিকার তীব্র বিরোধিতা করেছে।

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার বলেন, “ওরা ধর্মের নামে সমাজে বিভাজন তৈরি করতে মরিয়া। সমাজে আগুন লাগিয়ে দেবে। ওই সংগঠনের জন্মই হয়েছে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য”। প্রসঙ্গত, নবরাত্রির গরবা অনুষ্ঠানে হাজারও মানুষ সামিল হন। সঙ্গীতের সঙ্গে ডান্ডিয়ার তালে মেতে ওঠেন জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে উৎসব-প্রিয় মানুষ। দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই এই গরবা অনুষ্ঠান পালিত হয়।