ভারী বর্ষণের জেরে ভূমি ধস। কোথাও ভয়াবহ পরিস্থিতি। ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগের (Natural Disester) জেরে দেশে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী (Himachal Pradesh) হিমাচল প্রদেশে। বাকি মৃত্যুর খবর মিলেছে ঝাড়খণ্ড (Jharkhand), ওড়িশা (Odisha) ও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) থেকে।
হিমাচল:
এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশেই মৃত্যু সর্বাধিক। বহু পর্যটক আটকে। হিমাচল পর্যটন দফতর থেকে বলা হয়েছে সাময়িক বন্ধ পর্যটন। বিখ্যাত মণিমহেশ যাত্রা আপাতত স্থগিত। সিমলা থেকে অন্যান বিভিন্ন স্থানের যাতায়াত বন্ধ।
শনিবার কাংড়া জেলার চাক্কি নদীর উপর রেল সেতুটি আকস্মিক বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উত্তর রেলওয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভারী বৃষ্টির ফলে ব্রিজটি ধসে পড়েছে। ধর্মশালায় মেঘভাঙা বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়, যার ফলে এই অঞ্চলে ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটে। কাংড়া জেলা প্রশাসন পর্যটকদের নদী অন্যান্য জলাশয়ের কাছাকাছি না যাওয়ার জন্যও সতর্ক করেছে। গোটা জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয়দের বলা হয়েছে, তারা যেন তাদের বাড়ির বাইরে অযথা চলাচল না করে। শুক্রবার থেকে একটানা ভারি বর্ষণের জেরে একাধিক জায়গায় ভূমি ধসের খবর মিলছে। এ রাজ্যে একই পরিবারের ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে৷
উত্তরাখণ্ড:
হিমালয় ঘেরা অপর রাজ্য উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর আকার নেয়। পাহাড়ি জেলাগুলির বিভিন্ন এলাকা বিচ্ছিন্ন। এ রাজ্যেও বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন। রাজধানী দেরাদুন থেকে বিভিন্ন জেলার রাস্তায় ধস নেমেছে।
ওড়িশা:
ব্যাপক বৃষ্টিপাতের জেরে ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে প্রচুর। ওড়িশায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ময়ুরভঞ্জ, কেন্দ্রপাড়া এবং বালাসোরে জলবন্দি ৫০০ এর বেশী পরিবার। প্রায় ৭০ জনকে নিরাপদস্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে৷
ঝাড়খন্ড:
ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক বৃষ্টি ও ঝড়ের জেরে একাধিক জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একাধিক জায়গায় গাছ উপড়ে গেছে। বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। বিরাট বৃষ্টিপাতের কারণে সমস্ত তীর্থযাত্রা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের চালু করার সিদ্ধান্ত প্রশাসনের।