Narendra Modi: ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বিরাট ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী মোদীর

প্রতিবেশী চিনের সঙ্গে যৌথ সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা মিটলে এই সম্পর্কের উন্নতি হবে বলে…

প্রতিবেশী চিনের সঙ্গে যৌথ সম্পর্ক নিয়ে বড় বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা মিটলে এই সম্পর্কের উন্নতি হবে বলে মত মোদীর। তাঁর কথায়, ‘ভারত-চিনের সুস্থিত সম্পর্ক গোটা বিশ্বের জন্য প্রয়োজনীয়।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আসলে ভারত চিনের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখতে চাইলেও চিনের নাক উঁচু মনোভাবের কারণে তা সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য, এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘ভারতের কাছে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য। আমার মনে হয় আমাদের দ্রুত সীমান্তজনিত সমস্যা মিটিয়ে ফেলা উচিত যাতে আগামী দিনে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত হয়।’ মোদীর আশা, শীঘ্রই দুই দেশ সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পারবে। লোকসভা ভোটের আগে মোদীর এই বার্তা বিরোধীদের উদ্দেশ্যেও কড়া জবাব বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই মন্তব্য চিন নিয়ে এনডিএ সরকারের অবস্থান বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘ভারত ও চিনের মধ্যে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক শুধু আমাদের দুই দেশের জন্য নয়, প্রতিবেশী অন্যান্য দেশ সহ গোটা বিশ্বের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি, কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে যৌথ আলোচনার মাধ্যমে আমরা সীমান্তে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারব। ফলে দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত হয়ে উঠবে।’ যদিও প্রধানমন্ত্রী এহেন মন্তব্যে পর এখনও প্রতিবেশী চিনের তরফে এই ইস্যুতে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। 

২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় দু’দেশের সেনার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চিনের বিরুদ্ধে পূর্ব লাদাখের বেশ কিছু এলাকায় ঢুকে পড়ার অভিযোগ তোলে মোদী সরকার। চিনের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় চিনেরও বহু সৈন্য হতাহত হয়। তার পর কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে একাধিক বৈঠকের পরেও স্থায়ী কোনও সমাধান মেলেনি। দু’পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক এখন যে খুব একটা ভালো তাও বলা যাবে না। আপাতত দুই দেশই সীমান্তে ‘শান্তি-স্থিতাবস্থা’ বজায় রেখেছে।