নীতিশ-নাইডুর বেপরোয়া ‘তোলাবাজি’তে বাজেটের আগেই চোখে সরষে-ফুল মোদীর?

তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) হওয়ার আর্থিক চাপটা যে বেশ ভালোই হবে তা এখনই বুঝতে পারছেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এক দশক পর কেন্দ্রে আবারও…

Narendra Modi নীতিশ-নাইডুর বেপরোয়া 'তোলাবাজি'তে বাজেটের আগেই চোখে সরষে-ফুল মোদীর?

তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) হওয়ার আর্থিক চাপটা যে বেশ ভালোই হবে তা এখনই বুঝতে পারছেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এক দশক পর কেন্দ্রে আবারও জোট সরকার। কাগজে-কলমে নয় একেবারে বাস্তবিকই জোট ধর্ম পালন করতে হচ্ছে মোদী কোম্পানিকে। কিন্তু এই মুহূর্তে মোদীর দুই প্রধান সঙ্গী যা টাকা পয়সার আবদার করছেন, তা দেখে মাথায় হাত অনেকেরই। বিজেপির অনেক নেতাই আড়ালে আবডালে একে তোলাবাজিই বলছেন।

একাধিক মন্ত্রীত্ব ছাড়াও চন্দ্রবাবুর টিডিপির দাবি ছিল স্পিকারের পদ। ওদিকে নীতিশ কুমারের আবার আবদার ছিল রেলমন্ত্রকটা তাঁর চাইই চাই। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দুই দলেরই বড় বড় দাবির কোনটাই পূর্ণ হয়নি। আর এবার তাই আর্থিক দাবির চাপ বাড়ছে। বাজেট অধিবেশনের আগেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশের দাবি ৩০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ দেওয়া হোক রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য। পিছিয়ে নেই অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুও। তিনি আবার দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক সুবিধার দাবি করেছেন। সূত্রের খবর আগামী ৫-৬ বছরের জন্য তিনি ১২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন।

   

সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিহার সরকারের এক প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠক করেন। যদিও রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকের কোন সরকারি তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সূত্র মারফত খবর যে, সেখানেই এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক দাবি জানানো হয়েছে। আগামী ২৩ তারিখে যে বাজেট ঘোষণা করবেন নির্মলা, তাতেই এই ৩০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের আবদার করা হচ্ছে।

কেন্দ্রের ‘ভাঙলেও মচকাব না’ অবস্থান! NEET পরীক্ষা নিয়ে আদালতে কী জানাল মোদী সরকার?

শুধু আর্থিক প্যাকেজ নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়ার ওপরে শর্ত তুলে নেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। বিহারের দাবী কোন শর্ত ছাড়াই অতিরিক্ত ১ শতাংশ এবং অন্ধ্রর দাবি ০.৫ শতাংশ বেশি ঋণ শর্তহীনভাবে দেওয়া হোক। সেই সঙ্গেই ‘স্পেশাল স্টেট’-এর তকমা পাওয়ার দাবি তো আছেই।

সবমিলিয়ে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠনের পর প্রথম বাজেটের আগেই প্রবল চাপে মোদি এবং নির্মলা। একদিকে সরকারকে টিকিয়ে রাখার চাপ, অন্যদিকে বাজেটের ঘাটতিকে লাগাম পড়ানোর গুরুদায়িত্ব। গত অর্থ বর্ষে যে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৮.৮ শতাংশ, সেই ঘাটতিকে এবার ৭ শতাংশের নিচে নামানোর টার্গেট নিয়েছে কেন্দ্র।

বীভৎস, ৮ বছরের খুদেকে গণধর্ষণ করে খুন, কাঠগড়ায় স্কুলেরই তিন ‘দাদা’!

কিন্তু পছন্দের মন্ত্রীত্ব বা স্পিকার পদ না পাওয়ার পরে জোটসঙ্গীদের আর্থিক দাবিও যদি না মেনে নেওয়া হয় তাহলে কী হবে? বিজেপির এক প্রবীণ সাংসদের মতে বাজেট, ঘাটতি এসব তো চলতেই থাকবে, সরকার টিকিয়ে রাখাটাও তো সবার আগে দরকার। তাহলে কী বাজেটের আগেই দাবির চোটে চোখে সরষেফুল দেখছেন নির্মলা? গত ১০ বছরে যা করতে হয়নি, এখন নতুন সিলেবাসে সেইসব করতে হচ্ছে। সেটা দেখে কি প্রবল চাপে মোদীও? কেন্দ্রের বিরোধীপক্ষের নেতারা কিন্তু এসব দেখে বেশ মজাই পাচ্ছেন।