Narendra Modi: ধর্ষণ বিরোধী আইন প্রণয়নে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক, বিচারপতিদের আর্জি মোদীর

আরজি করের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সরব হয়েছে সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষ। অপরাধীর শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদে পথে নেমেছে মানুষ। এদিকে ধর্ষণ বিরোধী…

Narendra Modi appeal to Judges to take fast decision on anti rape bill

আরজি করের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে সরব হয়েছে সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষ। অপরাধীর শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদে পথে নেমেছে মানুষ। এদিকে ধর্ষণ বিরোধী আইনকে দ্রুত পাশ করাতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য-কেন্দ্রের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 

এমন অবস্থায় নারী নিরাপত্তা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। দিল্লিতে জেলা বিচার বিভাগের জাতীয় সম্মেলনে গিয়ে তিনি জানালেন, দেশে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য অনেক কঠোর আইন রয়েছে। তবে নারী নির্যাতন আটকাতে সেই আইনগুলিকে আরও সক্রিয় করা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং অন্য বিচারপতিরা। প্রধানমন্ত্রী গত একদশকের কেন্দ্রের কাজের খতিয়ান দিয়ে তিনি বলেন, “বিচার ব্যবস্থার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য সরকার ১০ বছরে আট হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে।”

   

গত সপ্তাহে ধর্ষণ রুখতে কড়া আইন আনা হোক দেশে। এই মর্মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) বৃহস্পতিবার চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফার্স্ট স্ট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে যাতে দোষীর বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে শাস্তি নিশ্চিত করা যায়, সেই নিয়েও চিঠিতে সওয়াল করেছেন মমতা। যদিও তার প্রতুত্তরে কেন্দ্র পাল্টা চিঠি দিয়ে রাজ্যকে জানায়, ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট নিয়ে আগেও একগুচ্ছ সুপারিশ পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। তার কিছুই বাস্তবায়িত করেনি রাজ্য।

আরজি কর কাণ্ডে যখন ক্রমশই কোনঠাসা রাজ্য সরকার, আর তখনই কড়া আইনের দাবি মমতার এই চিঠি আদতে ঘুরিয়ে কেন্দ্রের কোর্টেই বল ঠেললেন মমতা-অভিষেক। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ কেন্দ্রের ওপর এই চাপ এখন বাড়বে, এবং যদি সেই আইন পাশ করতে না পারে তাহলে ফের চেপে ধরবে বিরোধীরা।

এদিকে, বিজেপির ঘরে অধিকাংশ সাংসদের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি তথা ধর্ষণের মামলা রয়েছে। সুতরাং মোদী-শাহদের পক্ষে তা করা যে খুব একটা সহজ হবে না তা বলাইবাহুল্য।