Nagaland: ওটিং গ্রামে ‘গণহত্যা’ তদন্তের মাঝে আফস্পা মেয়াদ বাড়াল সরকার

News Desk: আফস্ফার মেয়াদ ফের বাড়ল। এদিকে চলতি মাসেই ওটিং গ্রামে অসম রাইফেলসের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যুর জেরে আইনটি বাতিলের আন্দোলন চলছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য…

Nagaland

News Desk: আফস্ফার মেয়াদ ফের বাড়ল। এদিকে চলতি মাসেই ওটিং গ্রামে অসম রাইফেলসের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যুর জেরে আইনটি বাতিলের আন্দোলন চলছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য সরকার আফস্পা বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ অধিকার আইন আফস্ফা (afspa) অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক এমনই দাবি নাগাল্যান্ড সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলবাসীরা। এই দাবিকে সমর্থন করছে নাগাল্যান্ড, মেঘালয় সরকার। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বরাবরই আফস্ফার প্রত্যাহারের পক্ষে। কিন্তু কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার আফস্ফার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হচ্ছে বলে জানাল।

   

গত ৩ ডিসেম্বর নাগাল্যান্ডের মন জেলার ওটিং গ্রামে অসম রাইফেলের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর আফস্ফা প্রত্যাহারের দাবি আরও জোরদার হয়। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও আফস্ফা প্রত্যাহারের দাবিতে পথে নামে। নাগাল্যান্ড এবং মণিপুর, মেঘালয়ের সরকার কেন্দ্র সরকারের কাছে বিতর্কিত আফস্ফা প্রত্যাহারের দাবি জানায়।

আফস্ফা প্রত্যাহারের দাবিতে নাগাল্যান্ড বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। মোদী সরকার আফস্পা জারি রেখেছে।

বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ছয় মাস নাগাল্যান্ড উপদ্রুত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। বজায় থাকবে আফস্ফা। উল্লেখ্য, একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে, সেনাবাহিনী তাদের এই বিশেষ আইন বলে সাধারণ মানুষের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালায়। তাই এই আইন প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে দীর্ঘদিন ধরেই।

উল্লেখ্য, নয়ের দশকে অসম, নাগাল্যান্ড-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের প্রায় সব রাজ্যকেই উপদ্রুত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে সেনাবাহিনীর হাতে এই বিশেষ ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছিল। প্রতি ছয় মাস অন্তর আফস্ফার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ডিসেম্বরের প্রথমে ওটিং গ্রামে নিরীহ গ্রামবাসীদের মৃত্যুর পর অনেকেই মনে করেছিলেন, কেন্দ্র হয়তো আর নতুন করে আফস্ফার মেয়াদ বাড়াবে না।

স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর প্রশ্ন উঠেছে আফস্পা আইন থেকেই যায় তাহলে কি ওটিংয়ের ঘটনার যথাযথ তদন্ত আদৌ হবে? ছড়াচ্ছে ক্ষোভ।