Manipur: মণিপুরে জঙ্গি হামলায় আগুন নেভাল মায়ানমারের দমকল! অসহায় বিজেপি সরকার

জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় জ্বলতে থাকা মণিপুরের (Manipur) কয়েকটি বাড়ির আগুন নেভাতে সীমান্তের মোরে শহরে ঢুকেছিল মায়ানমারের দমকল বাহিনী! এমনই চাঞ্চল্যকর সংবাদ দিয়েছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম…

Manipur

জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় জ্বলতে থাকা মণিপুরের (Manipur) কয়েকটি বাড়ির আগুন নেভাতে সীমান্তের মোরে শহরে ঢুকেছিল মায়ানমারের দমকল বাহিনী! এমনই চাঞ্চল্যকর সংবাদ দিয়েছে উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যতম বৃহত সংবাদ প্রতিষ্ঠান ‘NE Live’ চ্যানেল। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনের শিরোনাম “Moreh firing: Fire services brought from Myanmar to douse flames” নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে। সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশি দেশ মায়ানমার থেকে ভারতে এসে বর্মী দমকল বাহিনীর আগুন নেভানোর কথা মণিপুরের আরও কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমেও এসেছে। মায়ানমারে চলছে সামরিক শাসন। সেদেশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।

গত ডিসেম্বর মাস থেকে মণিপুরের মোরে শহরে চলছে জঙ্গি হামলা। মোরে শহরটির লাগোয়া মায়ানমারের টামু শহর। দুই দেশের সীমান্ত শহরের মধ্যে লাগাতার যাতায়াত থাকলেও আপাতত সব বন্ধ। আর গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে মোরে শহরে জঙ্গি হামলা আরও বেড়েছে।  মায়ানমারের কিছু উগ্র গোষ্ঠীর দেওয়া ভারী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে কুকি জঙ্গিরা। তাদের লক্ষ্য মোরে শহরের রক্ষী ঘাঁটি। কমান্ডো ও জঙ্গিদের মধ্যে লাগাতার বন্দুকযুদ্ধ চলছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় দুই রক্ষী নিহত হয়েছেন। জঙ্গিদের হামলায় মোরে শহরের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরে।

   

NE Live’ চ্যানেল জানাচ্ছে, আগুন নেভাতে প্রতিবেশী মায়ানমার থেকে দমকল আনা হয়েছিল। সীমান্তবর্তী শহরে পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল। নিরাপত্তা বাহিনী ও বন্দুকধারীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে কমপক্ষে ৭টি বাড়ি, ২টি গির্জা এবং ৩টি স্কুলে আগুন লেগেছে। মোরে শহরেপ কানন ভেং-এলাকার 3টি বাড়ি, একটি গির্জা এবং একটি স্কুলে আগুন লেগেছে এবং ফাইচাম ভেং-এলাকায় চারটি বাড়ি, একটি গির্জা এবং দুটি স্কুল পুড়ে গেছে। মায়ানমার ফায়ার সার্ভিস বিভাগের দুটি ফায়ার টেন্ডারকে আগুন নেভাতে দেখা গেছে।  বোমা এবং বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল বলে ওইসব বাড়িগুলিতে আগুন ধরে যায়।

সামাজিক মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে মায়ানমারের দমকল বিভাগের গাড়িগুলি সীমান্ত পার করে ভারতে ঢুকছে। তাদের দমকল কর্মীরা হোসপাইপ দিয়ে আগুন নেভাচ্ছেন। বুধবারই মণিপুরের বিজেপি সরকার ভয়াবহ পরিস্থিতি উল্লেখ করে কেন্দ্রের কাছে হেলিকপ্টার সাহায্য চায়। বিরোধীদের অভিযোগ,  বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাম জন্মভূমি নিয়ে বেশি মগ্ন তাই মণিপুরের বিষয়ে তারা নীরব।

NE Live’ চ্যানেল আরও জানাচ্ছে জঙ্গিদের সাথে গুলি বিনিময়ে একজন আইআরবি কর্মী সহ দুই নিরাপত্তা কর্মী মারা গেছেন এবং আরও দুইজন আহত হয়েছেন। আহতদের বিমানে করে ইম্ফলের রিমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাত থেকে সরগরম মণিপুর। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইবোবি সিং দেখা করেন।

এদিকে নিহত রক্ষীর জন্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ শুরু হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী শোকের পোশাক পরে, মহিলা বিক্ষোভকারীরা ইম্ফল বিমানবন্দরের রাস্তা অবরোধ করেন। ওই পথে সব ধরনের যানবাহন চলাচল ঠেকাতে মহিলারা রাস্তার মাঝখানে বসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় ঘেরাও করা হয়। বুধবার রাত থেকে মহিলাদের মশাল মিছিলে গরম মণিপুর।