উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ভদোহী জেলায় সম্প্রতি একটি অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বিজেপি (BJP) সাংসদের দেওয়া এক মাংসের পার্টি পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। খাওয়াদাওয়ার মাঝে অতিথিদের পাতে মাংসের বদলে কেবল ঝোল পড়ায় শুরু হয় বিবাদ, যা এক সময় মারামারির আকার ধারণ করে। আতঙ্কিত হয়ে পার্টি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন অতিথিরা।
কাশ্মীরে তুষারপাত, গুলমার্গে এক ইঞ্চি তুষারে ঢেকে গেছে তৃণভূমি
ভদোহীর এক বিজেপি সাংসদ সম্প্রতি নিজের সমর্থকদের জন্য একটি বিশাল ভোজের আয়োজন করেছিলেন। মেনুতে প্রধান আকর্ষণ ছিল মাটন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, অতিথিদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাংস প্রস্তুত করা হয়েছে। কিন্তু খাবার পরিবেশনের সময় দেখা যায়, অনেকের পাতে মাংস না পড়ে কেবল তরল ঝোল দেওয়া হচ্ছে।
যাঁরা মাংসের প্রত্যাশায় এসেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। একদল অভিযোগ করেন, আয়োজকরা খাবারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অনেকে সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং খাদ্য পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের উপর চিৎকার শুরু করেন।
খাওয়াদাওয়ার এই সামান্য ভুল বোঝাবুঝি দ্রুত তর্কাতর্কি এবং পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। অতিথিদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করেন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, থালা-বাসন ছোড়াছুড়ি শুরু হয়।
সংঘর্ষের চেহারা দেখে অনেক অতিথি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঝামেলার পরিবেশ আরও অবনতি ঘটলে কেউ কেউ পার্টি ছেড়ে পালিয়ে বাঁচেন। স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, আয়োজক সাংসদ নিজেও পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন।
সিআইডি রাশিয়ান রাসায়নিক স্প্রে করেছে, সেই সন্দেহে চিকিৎসকের কাছে অর্জুন
ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন, যাঁদের চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে এবং পরিস্থিতি তদন্ত করে দেখছে
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এটি নিয়ে হাস্যরসের বন্যা বয়ে যায়। কেউ কেউ এই ঘটনা নিয়ে মজার মিম তৈরি করেছেন। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলি এই ঘটনা নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি।
ভারতে ফিরল ১০০০ কোটির চুরি যাওয়া ১,৪০০ শিল্পকর্ম
বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, খাবার পরিবেশনের সময় কর্মীদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল, যা এত বড় সমস্যার জন্ম দেয়। সাংসদও তাঁর পক্ষ থেকে ক্ষমা চেয়ে বলেন, এমন ঘটনা আর কখনও হবে না।