প্রধানমন্ত্রী হয়ে ২০১৪ সালে স্লোগান দিয়েছিলেন যে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ।’ পরে সেখানে যুক্ত হয় ‘সবকা বিশ্বাস’। অর্থাৎ সকলের সঙ্গে থেকে সকলের উন্নয়ন এবং সকলের বিশ্বাস অর্জন। সেই স্লোগান মেনেই গত চার বছর ধরে ত্রিপুরা পরিচালনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।(Biplab Kumar Deb)
বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি জোট সরকারের আমলে রসাতলে চলে গিয়েছে ত্রিপুরা।
তবে ‘বিশ্বাস’ অর্জনে খামতি নেই বিপ্লব দেবের। শনিবার হোলির দিন আগরতলায় বাসভবনে উৎসবের আয়োজন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে হাজির ছিলেন বহু সাধারণ মানুষ। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ জাতি-ধর্ম ভুলে সামিল হয়েছিলেন মুহ্যমন্ত্রীর আহ্বানে। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে চমক। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হোলি খেলতে হাজির হলেন প্রচুর সংখ্যক মুসলিম।
এই কীর্তি যেন বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে ত্রিপুরা রাজ্যে। অতি সাধারণ জীবনযাপন করা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বামপন্থী। সেই জমানায় এই প্রকারের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রশ্নই ছিল না। শনিবারের আগরতলা সাক্ষী থাকল নয়া বিপ্লবের।
ভারতের অনেক প্রান্তে হোলি নিয়ে বিশৃঙ্খলা হয়। মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় হোলিকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার অনেক উদাহরণ রয়েছে। সেই জায়গায় আগরতলায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে দেখা গেল ভিন্ন ছবি। প্রচুর সংখ্যক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এসে সামিল হলেন হোলির উৎসবে। রঙ মাখিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রীর গালে। নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় লুকিয়ে নয়। মাথায় ফেজ টুপি এবং গালে দাড়ি নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে রঙ মাখিয়েছেন তাঁরা।
বলাই বাহুল্য যে ওই ঘটনায় খুশিতে ভরে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “আজ হোলির এই আনন্দঘন মুহূর্তে রাজ্যবাসীর তরফ থেকে এই ভালোবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। নাকারাত্মকতা ছেড়ে সকলে এই রঙের উৎসব সাকারাত্মকতার সঙ্গে পালন করুন এবং জীবন যাপন করুন।”
<
p style=”text-align: justify;”>সেই সঙ্গে তিনি আরও লেখেন, “আশীষ জড়ানো স্নেহের আলিঙ্গনে হোলির বাহারি রঙে, সুখাবৃত ও সমৃদ্ধতর হোক প্রত্যেকের আগামীর জীবন ক্যানভাসl বিকাশ আলোকে উদ্ভাসিত দ্যুতি, সমস্ত অশুভ নাশে, গৌরব-উজ্জ্বল গুচ্ছ সাফল্যে, সর্বশ্রেষ্ঠ প্রদেশ নির্মাণের পথে, দ্রুত অগ্রসরমানl হোলি উপলক্ষ্যে সবার এই স্নেন ও শুভকামনা, জনকল্যাণে নিরন্তর কার্য-সম্পাদনে আমাকে ভীষণভাবে উজ্জীবিত করেl প্রত্যেকের প্রতি হৃদয়ের গহীন থেকে কৃতজ্ঞতাl রঙের এই উৎসবে, সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক প্রত্যেকের জীবনl”