MPs suspended: সাংসদদের সাসপেনশন কংগ্রেস ও তৃণমূলকে ফের নিয়ে এল এক মঞ্চে

News Desk, New Delhi: বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের প্রধান বিরোধী দলকে, তা নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল (Congress and Trinamul Congress ) কংগ্রেসের মধ্যে একটা লড়াই…

suspend the MP

News Desk, New Delhi: বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের প্রধান বিরোধী দলকে, তা নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল (Congress and Trinamul Congress ) কংগ্রেসের মধ্যে একটা লড়াই চলছিল। কার্যত গোটা দেশেই কংগ্রেসকে এড়িয়ে চলছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ১২ জন রাজ্যসভা সাংসদকে (Rajya shabhaa mp) সাসপেন্ড (MPs Suspended) করার সিদ্ধান্ত কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসকে ফের এক মঞ্চে নিয়ে এল। এই দুই দল ছাড়াও আরও প্রায় ১৩ টি বিরোধী দল এই মঞ্চে সামিল হয়েছে।

পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সংসদ চত্বরে (parliament premises) গান্ধী মূর্তির (Gandhi statue)৷ পাদদেশে সাসপেন্ড হওয়া ১২ জন সাংসদ ধরনায় বসেছিলেন। এদিন ওই সাংসদদের পাশে এসে বসেন রাহুল গান্ধী ও লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। একই সঙ্গে বিভিন্ন বিরোধী দলের প্রতিনিধিরাও ওই ধর্না মঞ্চে হাজির হন।

   

তৃণমূল কংগ্রেস আগেই ঘোষণা করেছিল, সাসপেনশনের নির্দেশ যতদিন না প্রত্যাহার হবে ততদিন তাদের দুই সাংসদ গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্না দেবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, শুধু দুই তৃণমূল সাংসদ নয়, অপর ১০জন সাংসদও ধরনা দিচ্ছেন। যাদের মধ্যে ছয়জন কংগ্রেসের, দুজন শিবসেনার এবং সিপিএম সিপিআইএয়ের একজন করে সাংসদ রয়েছেন।

কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে রাজনৈতিক মহলকে কিছুটা চমকে দিয়ে ধরনা মঞ্চে এসে বসেন রাহুল গান্ধী। বুধবারই মুম্বই সফররত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুল তথা কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন। মমতার দাবি, একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই বিজেপির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছে। একই সঙ্গে নাম না করে রাহুলকে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, বছরের অর্ধেক দিন বিদেশে কাটালে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, লড়াইটা করতে হয় মাঠে নেমে, রাজনীতির ময়দানে। মমতার এহেন বাক্যবাণের পরেই যেভাবে রাহুলকে তৃণমূল সাংসদের পাশে এসে বসতে দেখা গিয়েছে তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি রাহুলের এই সিদ্ধান্তে এটাও প্রমাণ হয়ে গেল যে, বিরোধীদের মধ্যে যতই মতবিরোধ থাক না কেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে তারা একজোট হয়েই চলবে।

রাহুলের এদিনের সিদ্ধান্তে এক ঢিলে দুই পাখি মরেছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। কারণ ঐক্যবদ্ধ বিরোধী জোটের ছবি তুলে ধরে রাহুল একদিকে যেমন বিজেপির উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন, তেমনই তৃণমূলকেও এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে কংগ্রেসকে ছাড়া কখনই বিরোধী মঞ্চ গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

তবে বিরোধী সাংসদদের এই ধরনাকে খুব একটা আমল দিচ্ছেন না রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। তিনি বলেছেন, ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত ওই সাংসদদের সাসপেনশন কোনওভাবেই প্রত্যাহার করা হবে না। বরং বিরোধীদের এই আন্দোলনকে অগণতান্ত্রিক বলে উল্লেখ করেছেন নায়ডু।