Delhi court: কুতুবমিনার চত্বরে পূজার্চ্চনার আবেদন উড়িয়ে দিল আদালত

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দিল্লির কুতুবমিনার (kutub Minar ) চত্বরে পূজার্চ্চনা করতে চেয়ে দিল্লি কোর্টে (Delhi court) একটি আবেদন করেছিলেন বিষ্ণু জৈন (bishnu jain) নামে এক…

kutub Minar

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দিল্লির কুতুবমিনার (kutub Minar ) চত্বরে পূজার্চ্চনা করতে চেয়ে দিল্লি কোর্টে (Delhi court) একটি আবেদন করেছিলেন বিষ্ণু জৈন (bishnu jain) নামে এক আইনজীবী। শুক্রবার আবেদনটি শুনানির জন্য উঠলে আদালত তৎক্ষণাৎ আবেদনটি খারিজ করে দেয়।

আইনজীবী বিষ্ণু দাবি করেছিলেন, কুতুবমিনার চত্বরে এক সময় হিন্দুদের ২৭টি মন্দির (hindu temple) ছিল। ওই সব মন্দিরে শিব, পার্বতী, গনেশ, বিষ্ণু, হনুমানের মত দেব-দেবীর পূজা হত। একই সঙ্গে সেখানে ছিল জৈন তীর্থঙ্কর ঋষভ দেবের উপাসনা গৃহ। কিন্তু একসময় সম্রাট কুতুবউদ্দিন ওই সমস্ত মন্দিরগুলি ধ্বংস করে সেখানে তাঁর বিজয়স্তম্ভ হিসেবে কুতুবমিনার গড়ে তোলেন। তাই কুতুব মিনার চত্বরে পুনরায় মন্দিরগুলি প্রতিষ্ঠিত করার এবং পূজার্চ্চনা শুরু করার অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু আইনজীবী বিষ্ণুর ওই আবেদনকে ধর্তব্যের মধ্যে আনেননি শীর্ষ আদালতের বিচারপতি নেহা শর্মা।

বিচারপতি শর্মা এদিন বলেন, ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ভারতবর্ষ একসময় ছিল বিপুল সম্পদের আখর। সেই জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী শাসক এদেশে লুটপাট চালাতে ছুটে এসেছেন। অনেকে এদেশে থেকে গিয়েছেন। অতীতে ওই সমস্ত আগ্রাসনকারীরা নিশ্চিতভাবেই কিছু অন্যায় বা ভুল করেছে, এটা ঠিক। কিন্তু সেই ভুলের সংশোধন করতে বর্তমান ও ভবিষ্যতের শান্তি কখনওই বিঘ্নিত করা যায় না। বিচারপতির এদিনের পর্যবেক্ষণে এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, রাম মন্দির মামলার রায় দানের পর যে সমস্ত হিন্দু সংগঠন মসজিদ ভেঙে মন্দির নিয়ে উৎসাহী হয়ে উঠেছিলেন তাদের ক্ষেত্রে এটা এক বড় ধাক্কা।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর রাম মন্দির মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন মুসলিম স্থাপত্যগুলির অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন দাবি করে, বেশ কিছু জায়গায় হিন্দু স্থাপত্যকে ধ্বংস করে মুসলিম সম্প্রদায় তাদের ধর্মস্থান, বিজয়স্তম্ভ গড়ে তুলেছে। ওই সমস্ত জায়গাগুলি হিন্দুদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। বেশ কিছু জায়গায় মসজিদ ভেঙে মন্দির তৈরির দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এরইমধ্যে আইনজীবী বিষ্ণু কুতুবমিনার নিয়ে দিল্লি কোর্টে মামলা করে বসেন।

উল্লেখ্য, ১১৯৩ সালে তুঘলক বংশের সম্রাট কুতুবউদ্দিন আইবক দিল্লিতে তাঁর বিজয়ের স্মারক হিসেবে কুতুবমিনার গড়ে তুলেছিলেন। ৭২.৫ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট সম্পূর্ণ ইটের তৈরি কুতুবমিনার হল পৃথিবীর সবথেকে উঁচু ইটের স্তম্ভ। বর্তমানে দিল্লির অন্যতম পরিচিতি এই কুতুবমিনার।