সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে রাজ্যে ঢুকে গেল বর্ষা (Monsoon)। বিগত কিছু সময় ধরে টানা তাপপ্রবাহের পর অবশেষে মুক্তি পেতে চলেছেন রাজ্যের মানুষ। আজ শুক্রবার রাজ্যের ৫ জেলায় মুষলধারে বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হল হাওয়া অফিসের তরফে। আসলে কথা হচ্ছে বিহার নিয়ে। সেখানে বর্ষার আগমণ ঘটে গিয়েছে বলে খবর।
পূর্ণিয়া ও কিষাণগঞ্জের মধ্য দিয়ে নির্ধারিত সময়ের সাত দিন দেরিতে বৃহস্পতিবার বিহারে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ঢুকতে শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ষার আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বর্ষার প্রভাব দেখা গিয়েছে ফোর্বসগঞ্জ, আরারিয়া, পূর্ণিয়া, কিষাণগঞ্জ ও কাটিহারে।
পাটনা আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, পূর্ণিয়ায় বর্ষা আসার সময় ছিল ১৩ জুন, কিন্তু এবার তা সাত দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্ষার প্রভাব দেখা যায় রাজ্যের উত্তর ও পূর্ব অংশে। বর্ষার উত্তর সীমা অমরাবতী, গোন্ডিয়া, দুর্গ, রামপুর, মালদা, ভাগলপুর এবং রক্সৌলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এদিকে আজ শুক্রবারও রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় মুষলধারে বৃষ্টি নামবে বলে খবর।
আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব চম্পারণ, পশ্চিম চম্পারণ, সীতামারি, মধুবনী, সারন জেলায়। একই সঙ্গে রাজ্যে বর্ষার প্রভাব পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাটনা-সহ ৩০টি জেলার তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় প্রচণ্ড গরম ও তাপপ্রবাহ থেকে স্বস্তি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। পাটনায় চার ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে। সেখানকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বর্ষা আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদিকে যেখানে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়েছে, অন্যদিকে পূর্ব ও পশ্চিম বাতাসের মিশ্রণে তাপমাত্রা ৩০-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে জেলাগুলোতে প্রবল বজ্রপাতের পরিস্থিতি অনুকূল থাকতে পারে। শুক্রবার পটনা-সহ অধিকাংশ জায়গায় মেঘলা আকাশ থাকবে, কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে।