আজ ভুজে একটি প্রকল্প উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী (modi)। সেখান থেকেই কার্যত ফিল্মি কায়দায় গব্বর সিংয়ের ভঙ্গিতে পাকিস্তান কে হুঁশিয়ারি দেন মোদী। তিনি বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে রাষ্ট্রীয় নীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, যখন ভারত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি অবলম্বন করেছে।
তিনি (modi)ভারতের পর্যটন-চালিত দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে পাকিস্তানের সন্ত্রাস-কেন্দ্রিক মানসিকতার তুলনা করে বলেন, “ভারত পর্যটনের উপর বিশ্বাসী। পর্যটন মানুষকে একত্রিত করে। কিন্তু পাকিস্তানের মতো একটি দেশ মনে করে সন্ত্রাসই পর্যটন। এটি বিশ্বের জন্য একটি বড় হুমকি।”
পাকিস্তানকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন (modi)
প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হয় শান্তিতে বসবাস করো, নয়তো ভারতীয় গুলির মুখোমুখি হও(modi)। তিনি বলেন, “সুখ-চেন কি জিন্দেগি জিয়ো, রুটি খাও, ওয়ার্না মেরি গোলি তো হ্যায় হি।” অর্থাৎ, শান্তিতে থাকো, নিজের রুটি খাও, নয়তো আমার গুলি তো রয়েছেই।
সাম্প্রতিক পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের উল্লেখ করে মোদী বলেন, ‘অপারেশন সিন্দুর’ ভারতের নীতিকে স্পষ্ট করে দিয়েছে।
তিনি (modi)বলেন, “যারা আমাদের রক্ত ঝরাবে, তারা একই ধরনের প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে। কোনও মূল্যে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। অপারেশন সিঁদুর মানবতা বাঁচানোর এবং সন্ত্রাসবাদ শেষ করার একটি মিশন।” ভারত ৬-৭ মে রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে, পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) নয়টি জঙ্গি শিবির লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
ভারতীয় বিমান বাহিনী জৈশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত মূল কেন্দ্রগুলোতে আঘাত হানে, যার মধ্যে এই দুই নিষিদ্ধ সংগঠনের সদর দপ্তরও ছিল। এই হামলা ছিল ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও গণহত্যার প্রতিশোধ, যেখানে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গিরা ২৬ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল, যাদের বেশিরভাগই ছিল পর্যটক।
পাকিস্তান পহেলগাঁও গণহত্যার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়নি
মোদী (modi) অভিযোগ করেন, পাকিস্তান পহেলগাঁও গণহত্যার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি বলেন, “আমরা ১৫ দিন অপেক্ষা করেছিলাম, দেখতে চেয়েছিলাম পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয় কিনা। কিন্তু সম্ভবত সন্ত্রাসবাদ তাদের রুটি-রুজির অংশ। তারা কিছুই না করায় আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে মুক্ত হাত দিয়েছিলাম।”
পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিগুলো ভারতের পাল্টা হামলার পর “এখনও আইসিইউতে” রয়েছে বলে দাবি করে মোদী বলেন, “আমাদের বাহিনীর সাহস ও বীরত্বের কারণেই পাকিস্তানকে সাদা পতাকা উড়িয়ে যুদ্ধবিরতির জন্য আবেদন করতে হয়েছে। আমরা তাদের আগেই বলেছিলাম, আমাদের লক্ষ্য ছিল তোমাদের জঙ্গি ঘাঁটি ; তোমাদের শুধু চুপ থাকতে হতো। এখন যেহেতু তোমরা ভুল করেছ, তার পরিণতি ভোগ করতে হবে।”
মোদী (modi) আরও বলেন, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি বিশ্বের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা। তিনি বলেন, “আমরা জঙ্গিদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছি যে এমন হামলার জন্য মূল্য দিতে হবে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীই প্রথম গোলাগুলি শুরু করেছিল। আমরা আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গোলাগুলি করেছি। যখন তারা বুঝতে পারল যে তারা ক্ষতিকর পথে এগোচ্ছে, তখন তারা যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ করেছে।”
দলের এই দুই বিদেশি ফুটবলারদের বিদায় জানাল মুম্বাই সিটি এফসি
৮২,০০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কথা
এই জনসভায় মোদী গুজরাটে ৮২,০০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন, যা ভারতের অর্থনৈতিক ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতি তার সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। তবে, তার বক্তব্যের মূল বিষয় ছিল পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থান। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি, ভারত শান্তি চায়, কিন্তু সন্ত্রাসের মুখে নীরব থাকবে না।”
এই বক্তব্য ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এসেছে, যেখানে পহেলগাঁও হামলার পর ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। এই অভিযানে প্রায় ১০০ জন জঙ্গি নিহত হয় এবং জৈশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি ঘাঁটিগুলো ধ্বংস হয়। পাকিস্তান এর জবাবে ড্রোন হামলা চালালেও, ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকর প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানকে পিছু হটতে বাধ্য করে।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আপসহীন নীতি
মোদীর (modi) এই বক্তব্যে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আপসহীন নীতি প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা শান্তি চাই, কিন্তু যারা আমাদের ক্ষতি করবে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।” এই বক্তব্য ভারতের সামরিক শক্তি এবং কূটনৈতিক দৃঢ়তার প্রতিফলন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর (modi) ভুজের বক্তব্য ভারতের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতিকে পুনরায় জোরালোভাবে তুলে ধরেছে। পাকিস্তানের জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর পদক্ষেপ এবং ‘অপারেশন সিঁদুর ’-এর সাফল্য বিশ্বের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছে। মোদীর বক্তব্য ভারতের শান্তি ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি তার দৃঢ় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে।