HomeBharat‘বন্ধু’ পুতিনকে পাশে নিয়ে পকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মোদী

‘বন্ধু’ পুতিনকে পাশে নিয়ে পকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মোদী

- Advertisement -

হায়দরাবাদ হাউসের ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ শুক্রবার সাক্ষী থাকল ভারত–রাশিয়া সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যৌথ সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনকে সম্বোধন করলেন এক শব্দে—‘বন্ধু’। সেই এক শব্দেই ধরা পড়ল দুই দেশের দীর্ঘদিনের কৌশলগত ঘনিষ্ঠতা, এবং ভবিষ্যতের দিশা।

বৈঠকের আগেই সরকারি আধিকারিকরা জানিয়ে দেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত অর্থনৈতিক সমন্বয়ের নীলনকশা নিয়ে দু’দেশ সফলভাবে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। মোদীর কথায়, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার এই ধারাবাহিক অগ্রগতি পুতিনের নেতৃত্বে এক নতুন ভিত্তি পেয়েছে। তিনি বলেন, “১৫ বছর আগে ভারত–রাশিয়ার সম্পর্ক বিশেষ কৌশলগত অংশীদারিত্বের স্বীকৃতি পেয়েছিল। গত ২৫ বছরে প্রেসিডেন্ট পুতিন এই সম্পর্ককে এমন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন, যা সম্মান দাবি করে।”

   

সন্ত্রাসবিরোধী ঐক্যের কড়া বার্তা

প্রায় এক মাস আগেই দিল্লির বুকে বিস্ফোরণের ঘটনায় ওঠে নিরাপত্তা ঘিরে প্রশ্ন। সেই আবহেই পুতিনকে পাশে রেখে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আরও সুসংহত লড়াইয়ের ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য,“ভারত ও রাশিয়া বহুদিন ধরেই সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। পহেলগাম থেকে ক্রোকাস সিটি হল—ঘটনাগুলির উৎস এক। সন্ত্রাসবাদ মানবতার মূল্যবোধে আঘাত হানে, তাই এই লড়াই চলবেই।”

কূটনৈতিক মহলের মতে, পাকিস্তানের নেতৃত্বকে সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার মঞ্চে দাঁড়িয়ে একাধিকবার ‘ভারতবিরোধী’ তীক্ষ্ণ বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে মোদীর মন্তব্যকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মানছেন পর্যবেক্ষকরা—এ যেন সরাসরি প্রত্যুত্তর।

ইউক্রেন সংঘাত: শান্তির পক্ষেই দিল্লি Modi Putin Strategic Meet

রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যখন ‘শান্তিচুক্তি’র নতুন প্রচেষ্টা চলছে, তখন সেই সংলাপেই আমেরিকার অবস্থান জানতে চেয়েছে মস্কো। শুক্রবারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকেও উঠে আসে সেই প্রসঙ্গ। সাংবাদিকদের সামনে মোদী পুনর্ব্যক্ত করেন ভারতের নীতি—“রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাতের বিষয়ে আমাদের অবস্থান প্রথম থেকে একই—শান্তি। স্থায়ী শান্তিপ্রতিষ্ঠার যে কোনও প্রয়াসে ভারত নিরপেক্ষভাবে উভয় পক্ষের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত।”

কূটনীতির নতুন ছক

দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক রূপরেখা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, সন্ত্রাসবিরোধী সমন্বয় এবং ইউক্রেন যুদ্ধ–পরিস্থিতিতে ভারতের সুস্পষ্ট অবস্থান—সব মিলিয়ে মোদী–পুতিন বৈঠককে বিশেষজ্ঞরা দেখছেন এক নতুন কূটনৈতিক ছন্দ হিসেবে। বহুমেরু বিশ্বের বাস্তবতায় ভারত–রাশিয়া সম্পর্ক যে আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে, হায়দরাবাদ হাউসের শুক্রবারের দৃশ্য যেন তারই প্রতিচ্ছবি।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular