কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয় রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এর প্রশংসা করে বলেছেন যে, এই অনুষ্ঠানে প্রতিবারই যুব সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে, জম্মু ও কাশ্মীর এখন সত্যিকার অর্থে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
একসময় আমাদের বারবার বলতে হতো যে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। ওড়িশার এক কন্যা সেখানে গিয়ে পদক জিতছে, আর জম্মু ও কাশ্মীরের এক পুত্র দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খেলাধুলায় অংশ নিয়ে পদক জয় করছে। এই বক্তব্যে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্প্রতিক উন্নয়ন এবং দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে এর সংযোগের কথা তুলে ধরেছেন।
‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী সবসময়ই দেশের যুব সমাজের উন্নয়ন, শিক্ষা, ক্রীড়া, এবং উদ্ভাবনের মতো বিষয়গুলির উপর জোর দেন। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী ব্যক্তিদের গল্প তুলে ধরেন। সুকান্ত মজুমদারের মতে, এই অনুষ্ঠান যুবকদের মধ্যে নতুন উদ্যম ও প্রেরণা জাগায়।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী প্রতিবারই এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন যা যুব সমাজের জন্য প্রাসঙ্গিক এবং তাদের ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়ক।”জম্মু ও কাশ্মীরের প্রেক্ষাপটে মজুমদারের মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৯ সালে ধারা ৩৭০ বাতিলের পর থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।
এই অঞ্চল এখন ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হয়েছে। মজুমদার উল্লেখ করেছেন যে, ওড়িশার এক কন্যা জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে পদক জিতেছে। এটি কেবলমাত্র ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে একীকরণের একটি প্রতীক।
একইভাবে, জম্মু ও কাশ্মীরের এক যুবক দেশের অন্যান্য প্রান্তে খেলাধুলায় অংশ নিয়ে পদক জিতছে, যা এই অঞ্চলের যুবকদের সম্ভাবনা এবং তাদের জাতীয় মঞ্চে সাফল্যের প্রমাণ।
এই পরিবর্তন জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের জন্য নতুন সুযোগ এনেছে। শিক্ষা, ক্রীড়া, এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের মানুষ এখন আরও বেশি সক্রিয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে ।
সুকান্ত মজুমদারের মতে, এই অঞ্চলের যুবকদের এখন দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, “আগে আমাদের বলতে হতো যে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ, কিন্তু এখন এটি সত্যিকার অর্থে একীভূত হয়েছে। এটি কেবল রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক বিষয় নয়, বরং সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক একীকরণের একটি উদাহরণ।”
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে জম্মু ও কাশ্মীরের এই অগ্রগতির কথা বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ব্যক্তির সাফল্যের গল্প তুলে ধরে দেশের যুবকদের উৎসাহিত করেন। জম্মু ও কাশ্মীরের যুবকদের ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য এবং অন্যান্য রাজ্যের মানুষের সেখানে গিয়ে অর্জন এই অঞ্চলের সঙ্গে দেশের গভীর সংযোগের প্রতিফলন।
সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে ভারত যুব শক্তির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ‘মন কি বাত’-এর মাধ্যমে যুবকদের উদ্ভাবন, উদ্যোগ, এবং ক্রীড়ায় উৎসাহিত করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীরের এই নতুন অধ্যায় দেশের উন্নয়নের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। এই অঞ্চলের মানুষ এখন আরও বেশি করে জাতীয় মূলস্রোতে যুক্ত হচ্ছে, যা ভারতের একতা ও অখণ্ডতার প্রতীক।