ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Modi) আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২৪ সালে আর্জেন্টিনা সফর করেছিলেন এবং তাঁর এই সফর দেশটির পণ্ডিত, শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক মহলে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
প্রধানমন্ত্রী মোদী (Modi) তাঁর এই শ্রদ্ধাঞ্জলির মাধ্যমে কবিগুরুর অবদানকে স্মরণ করেছেন এবং ভারত ও আর্জেন্টিনার মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
১৯২৪ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর্জেন্টিনায় পা রাখেন, যখন তিনি দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশ সফর করছিলেন। তাঁর এই সফরের অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিক ছিল আর্জেন্টিনার বিশিষ্ট লেখিকা ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ। ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের মাধ্যমে একটি অনন্য বন্ধন গড়ে ওঠে।
রবীন্দ্রনাথের কবিতা, (Modi) গান এবং দর্শন আর্জেন্টিনার শিক্ষিত সমাজে গভীর প্রভাব ফেলে। তাঁর রচনার স্প্যানিশ অনুবাদ আর্জেন্টিনার পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।রবীন্দ্রনাথ বুয়েনস আইরেসে অবস্থানকালীন সময়ে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাঁর সাহিত্য ও দর্শন নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
তিনি শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং মানবতার উপর জোর দিয়ে বক্তৃতা দেন, যা আর্জেন্টিনার বুদ্ধিজীবী মহলে স্থায়ী ছাপ রেখে যায়। তাঁর এই সফর ভারত ও আর্জেন্টিনার মধ্যে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Modi) বুয়েনস আইরেসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এই অনুষ্ঠানে তিনি কবিগুরুর সাহিত্য, দর্শন এবং বিশ্ব শান্তির বার্তাকে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু ভারতের নয়, বিশ্বের এক অনন্য প্রতিভা। তাঁর সাহিত্য ও চিন্তাধারা আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আর্জেন্টিনায় তাঁর সফর ছিল দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্কের একটি মাইলফলক।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, রবীন্দ্রনাথের মানবতাবাদী দর্শন আজকের বিশ্বে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টিনার স্থানীয় কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক এবং ভারতীয় প্রবাসী সম্প্রদায়ের সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রী মোদী (Modi) এই সুযোগে ভারত ও আর্জেন্টিনার মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষাগত সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথের আদর্শ আমাদেরকে একটি সুন্দর ও সমন্বিত বিশ্ব গড়ার পথ দেখায়। আমরা তাঁর এই উত্তরাধিকারকে সম্মান জানাতে এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”ভারত-আর্জেন্টিনা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের প্রভাবরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আর্জেন্টিনা সফর শুধু সাহিত্যিক বিনিময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, এটি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বোঝাপড়ার ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব এবং তাঁর সাহিত্যের স্প্যানিশ অনুবাদ আর্জেন্টিনায় ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ জাগিয়েছিল। আজও আর্জেন্টিনার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রবীন্দ্রনাথের রচনা পঠিত হয় এবং তাঁর দর্শন নিয়ে গবেষণা হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনার শিক্ষাবিদরা রবীন্দ্রনাথের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথের চিন্তাধারা আর্জেন্টিনার সাহিত্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে একটি বিশেষ স্থান ধরে রাখে। এই অনুষ্ঠানে ভারত ও আর্জেন্টিনার মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং শিক্ষাগত সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনাও হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর (Modi) এই সফর এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ভারত ও আর্জেন্টিনার মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
তিনি এই সুযোগে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং রবীন্দ্রনাথের বিশ্বজনীন দর্শনের প্রচারে নিজের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা রবীন্দ্রনাথের আদর্শের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি, সম্প্রীতি এবং সহযোগিতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই।”এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক, যেমন নৃত্য, সঙ্গীত এবং সাহিত্যের উপস্থাপনা করা হয়।
আর্জেন্টিনার শিল্পীরাও তাদের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন, যা দুই দেশের সাংস্কৃতিক ঐক্যকে আরও জোরদার করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Modi) বুয়েনস আইরেসে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শুধু একটি প্রতীকী অঙ্গভঙ্গি নয়, এটি ভারত ও আর্জেন্টিনার মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক সম্পর্কের প্রতিফলন।
BMW CE04 নতুন অবতারে ফিরল, আধুনিক ডিজাইন ও ফিচারে আকর্ষণ করবে ক্রেতাদের!
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য ও দর্শন আজও দুই দেশের মানুষকে একত্রিত করে এবং বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেয়। প্রধানমন্ত্রী মোদীর (Modi) এই উদ্যোগ ভারতের সাংস্কৃতিক কূটনীতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত হবে।