BJP: মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির মিথ্যে প্রতিশ্রুতির সরকার, লিখল ‘সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র’

তীব্র জ্বালাময়ী এক সম্পাদকীয় প্রবন্ধ। প্রতি বাক্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi) ও তাঁর নেতৃত্বে চলা বিজেপির (BJP) প্রাদেশিক সরকারগুলির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কটাক্ষ করা…

তীব্র জ্বালাময়ী এক সম্পাদকীয় প্রবন্ধ। প্রতি বাক্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi) ও তাঁর নেতৃত্বে চলা বিজেপির (BJP) প্রাদেশিক সরকারগুলির বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কটাক্ষ করা হয়েছে ‘সর্বাধিক পঠিত সংবাদপত্র’-তে। এতেই পড়েছে আলোড়ন।

  • মোদীর নেতৃত্বে NDA সরকার স্বৈরাচারী বলে কটাক্ষ
  • ‘স্বৈরাচার নয়, গণতন্ত্রই জয়ী হবে’ সম্পাদকীয় ধাক্কায় নয়াদিল্লি আলোড়িত
  • CPIM এর তোলা অভিযোগের সাথে হুবহু মিল

বাংলাভাষী প্রধান রাজ্য ত্রিপুরায় (Tripura) বিধানসভা ভোট আসন্ন। ২০১৮ সালে টানা ২৫ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের পতন ঘটেছে এই রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গে টানা ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট (Left Front) শাসনের পতনের পর ত্রিপুরায় সিপিআইএম (CPIM) নেতৃত্বে বামফ্রন্ট সরকারের পতন ছিল দেশ জুড়ে তীব্র আলোচিত। কারণ, স্বাধীনতার পর উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্যে প্রথমবার বিজেপি (BJP) ক্ষমতায় আসে। আর ‘দেশের গরিবতম মুখ্যমন্ত্রী’ বলে পরিচিত মানিক সরকার (Manik Sarkar) হন ক্ষমতাচ্যুত।

manik-sarkar

ত্রিপুরায় বিজেপি (BJP) ও আইপিএফটি (IPFT) জোটের সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশ জুড়ে বিজেপি প্রচার করেছিল এবার পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) দখল করা হবে। ২০১৮ থেকে এই প্রচার চলে। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বঙ্গ দখল স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। টানা তিনবার জয়ী হয়েছে (TMC) তৃণমূল কংগ্রেস।

হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh) ও গুজরাট (Gujarat) বিধানসভা ভোটের দিন নির্ধারিত হতেই ত্রিপুরার আগামী নির্বাচনের প্রেক্ষিতে ‘স্বৈরাচার নয়, গণতন্ত্রই জয়ী হবে’ শিরোনামে সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে এ রাজ্যের বহুল প্রচলিত সংবাদপত্র ‘স্যন্দন পত্রিকা’। এতে বর্তমান বিজেপি জোট সরকারকে তুলোধনা করা হয়েছে গত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পত্র ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ প্রসঙ্গ টেনে।

yoga modi

সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘২৯৯টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছাড়াও বহু ঘোষণা করা হয়েছিল বিজেপির পক্ষ থেকে। কিন্তু সেই সব ঘোষণার বাস্তবায়ন তো দূরের কথা, সরকার গঠনের পর এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যাতে মানুষ শাসকদলের প্রতিশ্রুতি ও বর্তমান কাজকর্ম নিয়ে কোনও প্রশ্নই তুলতে না পারে।’

CPM-BJP

ত্রিপুরার অত্যন্ত জনপ্রিয় সংবাদপত্রটিতে রাজ্যটির বিজেপি জোট সরকারকে এমন তীব্র আক্রমণের পর আগরতলার রাজনীতিতে শোরগোল। প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমের করা অভিযোগগুলির সঙ্গে এই বাণিজ্যিক সংবাদপত্রটির সম্পাদকীয়র হুবহু মিল পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কংগ্রেসের (Congress) তরফেও স্বৈরাচার ইস্যু তোলা হয়েছে আগেই। তবে শাসক বিজেপি নীরব। আর জোট শরিক উপজাতি দল আইপিএফটি অস্তিত্বহীন হওয়ায় তাদের কোনও ভাষ্য নেই।

BJP

২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিজেপি জোট সরকার তৈরির পর, ২০২৩ সালে এই সরকারকে ভোট পরীক্ষা দিতে হবে। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর গত সবকটি ভোটে প্রবল রাজনৈতিক সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মতো ভোট লুঠ করে ত্রিপুরার শাসক বিজেপি।

ত্রিপুরায় বারবার রাজনৈতিক সন্ত্রাসের জেরে দেশে তীব্র সমালোচিত হয়েছে বিজেপি। অন্তর্দলীয় বিক্ষোভের কারণে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদল করেছে বিজেপি। সরে গেছেন (Biplab Deb) বিপ্লব দেব। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা (Dr Manik Saha)।

manik saha

পূর্বতন শাসক মানিক সরকার বর্তমান বিরোধী দলনেতা। ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে রাজ্যটির প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমের করা অভিযোগ ও রাজ্যটির ‘জনপ্রিয়’ সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। সূত্রের খবর, এই সম্পাদকীয় প্রকাশ হতেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাদের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। জানা যাচ্ছে মোদীকে প্রচারে নামানো হবে দ্রুত।