নয়াদিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর: ভারত সরকারের (Modi Government) ইন্ডিয়া এআই মিশনের অধীনে ফাউন্ডেশনাল এআই মডেল তৈরির জন্য আটটি দেশীয় কোম্পানিকে ইন্সেন্টিভ ঘোষণা করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই দ্বিতীয় ব্যাচের নাম ঘোষণা করেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত স্বাধীন এআই প্রযুক্তি বিকাশে এগিয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
নির্বাচিত কোম্পানিগুলি হল অ্যাভাতার.এআই, ভারতজেন, ফ্র্যাকটাল অ্যানালিটিক্স, টেক মহিন্দ্রা, জেইনটেক, জেনলুপ ইন্টেলিজেন্স, নিউরোডিএক্স এবং শোধ এআই। এরা ভারতীয় ভাষা ও সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে এলডাব্লিউএম (লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল) তৈরি করবে। মন্ত্রী বৈষ্ণব বলেন, এই কোম্পানিগুলির অগ্রগতি খুবই ভালো এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া এআই ইমপ্যাক্ট সামিটে এদের মডেল উন্মোচিত হবে।
এই মিশনের অধীনে মোট ১,৫০০ কোটি টাকার অনুদান প্রদান করা হবে, যার মধ্যে জিপিইউ কম্পিউটিংয়ের জন্য সহায়তা অন্তর্ভুক্ত। এর আগে এপ্রিল ২০২৫-এ সার্ভাম এআই সহ চারটি স্টার্টআপ নির্বাচিত হয় এবং মে মাসে সকেটএআই, গনানি.এআই এবং গ্যান এআই-কে প্রথম ফাউন্ডেশনাল মডেল তৈরির জন্য নির্বাচন করা হয়। এখন মোট ১২টি সত্তা এই মিশনে যুক্ত হয়েছে।
এই মিশনের লক্ষ্য ভারতে সার্বভৌম এআই ক্ষমতা গড়ে তোলা। সরকার ইতিমধ্যে ৩৮,০০০ জিপিইউ স্থাপন করেছে এবং ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ ৫০,০০০-এ পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছে। মন্ত্রী বলেন, “এই মডেলগুলি ভারতীয় ভাষা, সংস্কৃতি এবং স্থানীয় সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রীভূত হবে।” এছাড়া, ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্টের প্রশাসনিক নিয়মাবলী আগামী ১০ দিনের মধ্যে জারি হবে, যা এআই বিকাশে ডেটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
এই ঘোষণা ভারতের এআই খাতে নতুন গতি সঞ্চার করেছে। টেক মহিন্দ্রা বলেছে, “আমরা প্রজেক্ট ইন্ডাসের মাধ্যমে ভারতীয় এলডাব্লিউএম তৈরিতে গর্বিত।” বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উদ্যোগ ভারতকে বিশ্বের শীর্ষ এআই হাবে পরিণত করবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে নেটিজেনরা সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করছেন। তবে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন জিপিইউ অভাব এবং প্রশিক্ষণ ডেটার গুণমান। সরকার এখন ইনফারেন্সিং মডেলে ফোকাস করছে, যা আরও দক্ষ।
মুর্শিদাবাদে অধীরের মাস্টার-স্ট্রোক! তৃণমূলের ঘর ভাঙিয়ে ১০০০ জনের কংগ্রেসে যোগ!
ইন্সেন্টিভ প্রাপ্ত সংস্থাগুলি বলেছে এই মিশন ভারতের ডিজিটাল ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবে। ফেব্রুয়ারি সামিটে এই মডেলগুলির উন্মোচন বিশ্বকে ভারতের এআই শক্তি দেখাবে। এই উদ্যোগ দেশীয় স্টার্টআপগুলিকে উৎসাহিত করবে এবং বিদেশী নির্ভরতা কমাবে। ভারতের এআই যাত্রায় এটি একটি মাইলফলক।