দামি স্মার্ট ফোনের শখ মেটাতে সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে বিক্রি করে দিল নাবালক স্বামী

নিউজ ডেস্ক: পাত্রের থেকে পাত্রীর বয়স প্রায় ১০ বছর বেশি। শুধু তাই নয়, পাত্র ছিল নাবালক। তাই এই বিয়েতে ওই নাবালকের বাড়ির ছিল তীব্র আপত্তি।…

minor, husband, sold , newly, married, wife ,smart phone

নিউজ ডেস্ক: পাত্রের থেকে পাত্রীর বয়স প্রায় ১০ বছর বেশি। শুধু তাই নয়, পাত্র ছিল নাবালক। তাই এই বিয়েতে ওই নাবালকের বাড়ির ছিল তীব্র আপত্তি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাড়ির অমতে ২৬ বছরের যুবতীকে বিয়ে করে ১৭ বছরের এক নাবালক। সংসারে ছিল তীব্র অর্থ কষ্ট। তাই ভিন রাজ্যে গিয়ে একটি ইটভাটায় কাজ করে দিন কোনরকমে দিন গুজরান করছিল ওই দুইজন।

রাজস্থানের এক ইট ভাটায় কাজ করছিল তারা। ওই নাবালক কিশোরের স্মার্টফোন কেনার বিশেষ শখ ছিল। কিন্তু ফোনের টাকা কোনোভাবেই জোগাড় হচ্ছিল না । শেষ পর্যন্ত ফোনের টাকা জোগাড় করতে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে বিক্রি করে দিল ওই নাবালক। শুধু তাই নয়, স্ত্রীকে বিক্রি করে দিয়ে ওড়িশায় নিজের বাড়িতেও চলে আসে ওই নাবালক। যুবতীর বাড়ির লোকজন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। শেষ পর্যন্ত ওই নাবালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে যুবতীকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। ওই নাবালক পাত্র এবং পাত্রী দুজনেই ওড়িশার বাসিন্দা।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালক এবং তার স্ত্রী দুজনেই বিয়ের পর কাজের সন্ধানে রাজস্থানে চলে যায়। সেখানেই তারা একটি ইটভাটায় কাজ শুরু করে। কিন্তু মাসখানেকের মধ্যেই ওই নাবালক তার স্ত্রীকে এক বছর ৫৫-র প্রৌঢ়ের কাছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। ওই টাকা দিয়েই সে একটি দামি স্মার্টফোন কেনে। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকদিন ধরেই সে খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য খাতে বিপুল টাকা খরচ করে। তারপর সে ফিরে আসে ওড়িশার বাড়িতে।

ওই নাবালকের সঙ্গে তার স্ত্রী না ফেরায় ওই যুবতীর বাড়িলোকজন তার খবর জানতে চেষ্টা করে। কিন্তু কিশোর জানায়, ওই যুবতী তাকে ছেড়ে অন্য একজনের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। এতেই ওই যুবতীর পরিবারের সন্দেহ হয়। তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়। এরপর ওই যুবককে দীর্ঘ জেরা করে আসল ঘটনাটি জানতে পারে পুলিশ। জেরায় ওই কিশোর জানিয়েছে, তার অনেকদিনের শখ ছিল একটি দামি স্মার্টফোন কেনার। কিন্তু কিছুতেই সে টাকার যোগাড় করতে পারছিল না। তাই রাজস্থানের এক ব্যক্তির কাছে সে স্ত্রীকে বিক্রি করে দিয়েছে।

এরপর ওই যুবকের দেওয়া ঠিকানা ধরে ওড়িশা পুলিশ রাজস্থানের বালানগিরে পৌঁছয়। সেখানে থেকেই ওই যুবতীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে উদ্ধার করা আদৌ সহজ হয়নি। কারণ যার কাছে ওই যুবতীকে বিক্রি করা হয়েছিল তার বাড়ির এবং আশপাশের লোকজন পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, ওই যুবতীকে প্রায় দু’লাখ টাকা দিয়ে তারা কিনেছে। তাই তাকে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। শেষ পর্যন্ত রাজস্থান পুলিশের সহায়তায় ওই যুবতীকে উদ্ধার করে ওড়িশা পুলিশ। শুক্রবার ওই যুবককে আদালতে তোলা হলে তাকে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় কোর্ট ।